রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, পরিকল্পিত নগরায়ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের অন্যতম নিয়ামক।

তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, বাসযোগ্য, আধুনিক ও টেকসই নগর গঠনে সরকারি-বেসরকারি অংশীজন, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মসহ সবার সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। 

‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। ৭ অক্টোবর ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ পালিত হচ্ছে।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।”

পরিবেশবান্ধব নগরায়ণ ও আবাসন ব্যবস্থা টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে জীবনধারণের মৌলিক চাহিদা হিসেবে বাসস্থানের নিশ্চয়তা বিধানকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ মূলনীতির আলোকে টেকসই শহর ও জনপদ গড়তে সরকার নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন, মৌলিক সেবায় পর্যাপ্ত প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণ ও নিম্নবিত্তদের আবাসন নিশ্চিত করতে যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কথা বিবেচনায় রেখে সব শ্রেণিপেশার মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, যাতায়াত ও নির্মল বিনোদনের সুযোগ সুবিধাসম্বলিত নগরায়ণ করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক নিরাপদ আবাসন ও উন্নত নগর ব্যবস্থা চালু করতে তরুণ প্রজন্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ পরিপ্রেক্ষিতে, দিবসটির এবছরের প্রতিপাদ্য—‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’- অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, দেশের তরুণ প্রজন্মের নির্ভীক, সৎ ও আন্তরিক সম্পৃক্ততা এ কাজকে বহুগুণে বেগবান করবে, নবীন-প্রবীণের কার্যকর অবদানে সবার জন্য নিশ্চিত হবে নিরাপদ আবাসন।

তিনি ‘বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেছেন।

এসএম