পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম পদত্যাগ করেছেন। খুরশেদ আলমের চু‌ক্তি‌ভি‌ত্তিক নিয়োগের মেয়াদ ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়া‌রি শেষ হওয়ার কথা ছিল।

রোববার (৬ অক্টোবর) খুরশেদ আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র খুরশেদ আলমের পদত্যাগের তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, রোববার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে।  

বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তার অবস্থান নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খুরশেদ আলমের অবস্থান নিয়ে নানা লেখালেখি হতে দেখা গেছে।

খুরশেদ আলম ২০০৯ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। ২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারি মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান হিসেবে চুক্তিতে নিয়োগ পান তিনি। পরে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ফের খুরশেদ আলমের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ দুই বছরের জন্য বাড়ানো হয়। তিনি প্রায় ১৪ বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দায়িত্ব পালন করেছেন।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন খুরশেদ আলম। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ সময় শেখ হাসিনা যখন রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশ যেতেন তার সফরসঙ্গী হতেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব। তখন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের দেখভালের দায়িত্ব সামলাতেন খুরশেদ আলম।

সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের বিদায়ের পরও খুরশেদ আলম কিছু দিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।

মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব হিসেবে খুরশেদ আলম আঞ্চলিক সামুদ্রিক সংগঠন ইন্ডিয়ান ওশেন রিম অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশ ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খুরশেদ আলম মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমানা বিরোধ নিষ্পত্তিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি উভয় মামলায় বাংলাদেশের ডেপুটি এজেন্ট হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন।

এনআই/জেডএস