হজ ও ওমরাহর লাইসেন্স ছাড়াই অনেক এজেন্সি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কম মূল্যে অধিক সেবার লোভনীয় চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে হজযাত্রীদের বিভ্রান্ত করছে। এতে অনেক ওমরাহ হজযাত্রী প্রতারিতও হচ্ছেন। সম্প্রতি বিষয়টি উল্লেখ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছে হজ্জ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।

রোববার (৬ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিঠিটি গ্রহণ করা হয়েছে।

চিঠিতে হাবের মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার লিখেছেন, দীর্ঘদিন যাবত আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে কিছু ব্যক্তি, সংস্থা এবং হজ ও ওমরাহ লাইসেন্সবিহীন এজেন্সি সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কম মূল্যে অধিক সেবার লোভনীয় চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সম্মানিত হজযাত্রীদের বিভ্রান্ত করছে। এসব চক্রের ফাঁদে পড়ে সাধারণ হজ ও ওমরাহ যাত্রীরা প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এসব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ একান্ত জরুরি।

এতে আরও বলা হয়, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এবং ধর্মপ্রাণ হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষার নিমিত্তে এসব অবৈধ ব্যক্তি, সংস্থা ও এজেন্সির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হচ্ছে।

হাবের একজন নেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইদানিং ফেসবুকে এক লাখ টাকা বা এর কাছাকাছি মূল্যে ওমরাহ হজ করানোর প্যাকেজ দেখা যাচ্ছে। প্যাকেজে প্লেনের টিকেট, ভিসা, থাকা-খাওয়া, বিমানবন্দর ও জেদ্দা-মক্কার গাড়ি ভাড়াও যুক্ত আছে দেখলাম। অনেক হজযাত্রী এসব লোভনীয় প্যাকেজ কিনে প্রতারিত হয়েছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। কিন্তু আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখলাম যারা এসব প্যাকেজ দিয়েছে তারা কেউই অনুমোদিত হজ এজেন্সি না।

তিনি আরও বলেন, হাজিদের উদ্দেশে আমরা বলতে চাই হজের প্লেন ভাড়া, ভিসা ও হোটেল ভাড়ায় ১ লাখের বেশি খরচ হয়। যাচাই-বাছাই না করে সব শর্ত না জেনে হজের প্যাকেজ কেনা থেকে বিরত থাকবেন।

এআর/এসএসএইচ