বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে অবাঞ্চিত, অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের স্বপদে বহালের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি ও কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে পদ বঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকজোট।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। 

বক্তারা বলেন, সারা দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের অপমান, অপদস্ত, হেনস্তা ও মারধর করে জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে অবাঞ্ছিত ও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। প্রায় দুই হাজার শিক্ষক পদ-বঞ্চিত হয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন।

তারা বলেন, যেখানে শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর, সেখানে আজ আমরা নিগৃহীত, নির্যাতিত। সততা, নিষ্ঠা ও নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে স্বার্থলোভী লোকদের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছি। তারা এই সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের সংঘবদ্ধ করে এমন নিষ্ঠুর নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে যা অস্বাভাবিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। এ ঘটনা জাতির জন্য এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

শিক্ষকরা বলেন, এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বহিরাগত দুর্বৃত্ত এমন অনৈতিক, অন্যায় ও মব জাস্টিসের মত বর্বরতার কবলে পড়েছেন স্বপ্ন আয়ের পেশাগত দায়িত্বে থাকা এই শিক্ষকরা। ফলে কেউ আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। কেউ চাকরি হারিয়ে, বেতন না পেয়ে, পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। কেউবা ঘর-বাড়ি ছেড়ে দূর-দূরান্তে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমন হয়রানি ও বিপর্যয়কর অবস্থা থেকে আমরা রক্ষা পেতে চাই, বাঁচতে চাই।

তারা আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানসমূহে এখনও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও নানাভাবে হেনস্তা করার ঘটনা ঘটছে। যা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা পদ-বঞ্চিত শিক্ষকেরা কর্মস্থলে যেতে পারছি না। আমাদের বেতন-ভাতাদি বন্ধ। স্ত্রী-সন্তানাদি নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। দেশব্যাপী শিক্ষক হয়রানি বন্ধ করা হোক। শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পদ-বঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক জোটের আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার, প্রধান শিক্ষক আলকাছ উদ্দিন আহমেদ, কেকা রায় চৌধুরী, অধ্যক্ষ ড. মো. ইদ্রিস আলী, মহাদেব চন্দ্র দে, নাজমা বেগম, সিদ্দিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এএসএস/এসকেডি