সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ফিরবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মা বেশ বিচলিত এবং হতাশ। গত ১৫ বছরে তার সমস্ত কঠোর পরিশ্রম অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, কোটা আন্দোলনে আমরা সবাই অবাক হয়েছি। আমি নিজেও চেয়েছিলাম কোট সংস্কার হোক। আমি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বলেছিলাম, ৩০% কোটা অনেক বেশি, তা কমিয়ে ৫% করা উচিত। তখন কেউ কেউ চিৎকার করে বলল, আমরা মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি। তখন আমি মজা করে বলেছিলাম, ‘এ কারণেই আমি ৫% ছেড়ে দিয়েছি।’

অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি তারা এক বছর বা ১৮ মাস দেশ চালাতে চায়, তাহলে আমি বলব এটা সঠিক সিদ্ধান্ত।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে পাঁচশতাধিক মানুষ নিহত হন। আহত হন কয়েক হাজার। যে কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি উঠছে। এ ব্যাপারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে কীভাবে নিষিদ্ধ করবেন? এটা আইনত সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, আমার কখনোই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। ভবিষ্যতে রাজনীতি করব কিনা সে ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তারপর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

এএমকে