ফাইল ছবি

ডিসি নিয়োগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ইস্যুতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে নিয়ে এ রকম কথা। এটি নিয়ে অবশ্যই আমরা উদ্বিগ্ন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে নিয়ে এ রকম কথা। এটি নিয়ে অবশ্যই আমরা উদ্বিগ্ন। এ কথাটা (ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ) কেন উঠল, এটার সূত্র কী, এটার কারণ কী সেটা তলিয়ে (খতিয়ে) দেখতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা তো এখন এনালগ যুগে নেই, এজন্য আমাদের বাড়তি কষ্টটা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যেটাই আসছে, আমরা লাফ দিয়ে ধরে নিতে পারছি না যে এটাই সত্য। আমাদের এটাকে যাচাই করতে হয়।

একই সঙ্গে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কোনো ধরনের দায়িত্বহীনতা মেনে নেওয়া হবে না বলেও জানান শারমীন এস মুরশিদ। বলেন, অত্যন্ত দায়িত্বশীল জায়গায় প্রতিষ্ঠিত কর্মকর্তাদের কোনো ধরনের দায়িত্বহীনতা মেনে নেওয়া যাবে না। এটাও আমাদের অনুশাসনের অধীনে আনতে হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে ফাঁস হয়েছে এক ভয়াবহ কেলেঙ্কারির তথ্য। এ নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং বিতর্কিত দুই যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও আলী আযমের সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য সামনে এসেছে। সেই সিনিয়র সচিবের সঙ্গে এক যুগ্ম সচিবের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনে সম্প্রতি ডিসি নিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের তথ্যও উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনের একপর্যায়ে নিজেকে নির্লোভ দাবি করেন সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান। টাকা-পয়সার প্রতি কোনো লোভ নেই জানিয়ে ডিসি নিয়োগে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করেন তিনি। তাদের এ সংক্রান্ত কথোপথনের কিছু স্ক্রিনশট রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মহলেও ঘুরপাক খাচ্ছে, যা নিয়ে প্রশাসনের ভেতরে ব্যাপক তোলপাড় চলছে।

এসএইচআর/এমজে