বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হতে আগ্রহী ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস।

বুধবার (২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র সচিব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব এবং বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে সরকারের সক্ষমতার প্রতি আস্থা রাখায় দক্ষিণ কোরিয়াকে ধন্যবাদ জানান। তিনি দুই দেশের বর্তমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্যের পরিমাণ সম্প্রতি বেড়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়া বিনিয়োগ নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এলডিসি এবং এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে বিপুল পরিমাণে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজার অনুমতি দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্র সচিব।

উভয়পক্ষ ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলায় এবং এর ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে টেকসই প্রবৃদ্ধির সুবিধার্থে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পন্ন করার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন।  

রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্যবসাবান্ধব এবং স্থিতিশীল পরিবেশের উন্নতি অন্তর্বর্তী সরকারের কাজগুলোর মধ্যে একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত, যাতে আরও বেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসে। এক্ষেত্রে কোরিয়ান দূতাবাস বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী।  

পররাষ্ট্র সচিব ইপিএসের আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করায় দেশটির সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি, মৎস্য, জাহাজ নির্মাণ এবং অন্যান্য পরিষেবা খাতে কাজের সুযোগ উন্মুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করবে। এ ছাড়া, ভবিষ্যতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কোরিয়ান স্কলারশিপের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ করেন জসীম উদ্দিন।

উভয়পক্ষ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রাখা, বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, মুক্ত বাণিজ্যের প্রচার এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে সমর্থন করার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এনআই/এমজে