আসন্ন দুর্গাপূজায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে মাঠ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভিন্ন নির্দেশনার পাশাপাশি পূজা চলাকালে মণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র‍্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস স্মারকের মাধ্যমে এ নির্দেশনাসমূহ জারি করা হয়।

স্মারকে বলা হয়েছে, গতকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ২য় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাঠ প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য এসব নির্দেশনাসমূহ জারি করা হয়েছে।

(ক) শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র‍্যাব এবং আনসার ও ভিডিপি কর্তৃক দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।

(খ) যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সূত্রপাত ঘটার সাথে সাথেই সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

(গ) শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে পূজামণ্ডপসমূহ পরিদর্শন করতে হবে।

(ঘ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

(ঙ) সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিসমূহকে পূজামণ্ডপসমূহে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার (পালাক্রমে দিনে কমপক্ষে ৩ জন এবং রাতে ৪ জন) নিয়োজিত করতে হবে।

(চ) প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷

(ছ) শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র‍্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন নিশ্চিত করতে হবে;

(জ) শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকগণ এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এরূপ কমিটি গঠন করবেন।

এমএম/এসকেডি