উপরের সারিতে বাঁ থেকে মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল মুহিত এবং নিচের সারিতে বাঁ থেকে মাহবুব হাসান সালেহ, এম. আল্লামা সিদ্দিকী, রেজিনা আহমেদ / ছবি : সংগৃহীত

ভারতের দিল্লি, আমেরিকার নিউইয়র্ক, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারকে বর্তমান দায়িত্ব ছেড়ে ‘অনতিবিলম্বে’ ঢাকায় সদর দপ্তরে ফেরার নির্দেশনা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের পৃথক অফিস আদেশে ছয় রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারকে ঢাকায় ফেরার নির্দশনা দেওয়া হয়েছে।

বর্তমান দায়িত্ব ছেড়ে যে পাঁচ দূতকে ঢাকায় ফিরতে বলা হয়েছে তারা হলেন, হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ হাইকমিশন, নয়াদিল্লি), রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত (জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, নিউইয়র্ক), রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ (বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রাসেলস), হাইকমিশনার এম. আল্লামা সিদ্দিকী (ক্যানবেরা) ও রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ (বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন)।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ নাজমুল হকের সই করা পৃথক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, আপনাকে সদর দপ্তর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় বদলির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আপনার বর্তমান দায়িত্ব ত্যাগ করে অনতিবিলম্বে ঢাকা সদর দপ্তরে প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

এর আগে, ২৯ সেপ্টেম্বর এক অফিস আদেশে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমকে অবিলম্বে ঢাকায় ফিরতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

১০ ব্যাচের কর্মকর্তা এম আল্লামা সিদ্দিকী ১৯৯১ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। সিদ্দিকী আগামী ১ ডিসেম্বর অবসর–উত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালনের আগে ডেনমার্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। আল্লামা সিদ্দিকী তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি লন্ডন, ইসলামাবাদ, কলকাতা, টোকিওর বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১১তম ব্যাচের কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসর–উত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। পেশাদার কূটনীতিক মোস্তাফিজুর রহমানের কূটনীতিক মোস্তাফিজ দিল্লিতে হাইকমিশনার হওয়ার আগে জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি প্যারিস, নিউ ইয়র্ক ও জেনেভাতেও কর্মরত ছিলেন। এছাড়া, তিনি সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রদূত এবং কোলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবেও কাজ করেছেন।

একই ব্যাচের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মুহিত আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসর–উত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। পেশাদার কূটনীতিক আবদুল মুহিত নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হওয়ার আগে অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে, তিনি ডেনমার্কে বাংলাদেশে আবদুল মুহিত কূটনীতিক হিসেবে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, ওয়াশিংটন, রোম, কুয়েত ও কাতারে বাংলাদেশ মিশনের পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।র রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।

বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা রেজিনা আহমেদ আগামী ১৩ ডিসেম্বর অবসর–উত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। পেশাদার কূটনীতিক রেজিনা আহমেদ মরিশাসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি মিলানে কনসাল জেনারেল এবং ক্যানবেরা, মস্কো ও ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা মাহবুব হাসান সালেহ্ আগামী ১৫ ডিসেম্বর অবসর–উত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। পেশাদার কূটনীতিক মাহবুব হাসান সালেহ্ ব্রাসেলসে রাষ্ট্রদূত হওয়ার আগে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ছিলেন। তিনি কোলকাতা, সিউল ও ক্যানবেরা মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া, তিনি দিল্লির বাংলাদেশ মিশনে ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

এনআই/কেএ/পিএইচ