বিশেষায়িত শিক্ষা নেওয়ার পরও সারা দেশে প্রায় ৯ হাজার মিডওয়াইফ বেকার হয়ে বসে আছেন। উপযুক্ত কাজ না পাওয়ার কারণে তারা হতাশাগ্রস্তও হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মিডওয়াইফ পেশার উন্নয়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি (বিএমএস) এ বৈঠকের আয়োজন করেছে। এতে অর্ধশতাধিক মিডওয়াইফ অংশ নেন।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, মিডওয়াইফ হচ্ছেন দক্ষ, প্রশিক্ষিত এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত মা ও নবজাতক শিশু স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী। একজন মা গর্ভধারণ পূর্ববর্তী পরিকল্পনা থেকে শুরু করে, গর্ভকালীন, প্রসবকালীন এবং প্রসব-পরবর্তী সময়ে মিডওয়াইফের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারেন।

বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটির (বিএমএস) সভাপতি আসমা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৭ হাজার ২৩০ জন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মিডওয়াইফ (বিএনএমসি রিপোর্ট ২০২৩ অনুযায়ী) রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২ হাজার ৫৫৭ জন মিডওয়াইফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন সাব সেন্টারে কাজ করছেন।

শিশুর মৃত্যুহার কমাতে মিডওয়াইফরা বড় ভূমিকা পালন করেন উল্লেখ করে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সংগীতা সাহা প্রেমা বলেন, মা ও নবজাতক শিশুর মৃত্যুহার কমাতেই চিকিৎসা খাতে মিডওয়াইফদের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সারা দেশে নিরলস তারা মা ও শিশুদের যত্নে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু যথাযথ কাজের সুযোগ অনেকেই পাচ্ছেন না। অনেকেই উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিয়েও বেকার বসে আছেন। তাদের কথা সরকারকে চিন্তা করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রায় ৯ হাজার মিডওয়াইফ বিশেষায়িত শিক্ষা গ্রহণ করার পর এবং কম্পিটেন্ট হওয়ার পরও বেকার হয়ে বসে আছেন। তারা প্রায় হতাশাগ্রস্ত। বেসরকারি পর্যায়ে মিডওয়াইফদের আরও বেশি করে কাজের সুযোগ করে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএমএসএর সাবেক সহ সভাপতি সৈয়দা মাহফুজা ঝুমু বলেন, মিডওয়াইফদের উন্নয়নে তাদের শিক্ষার সুযোগ এবং কর্মপরিধি আরও প্রসারিত করতে হবে। সেজন্য নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে মিডওয়াইফদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও যুক্তিসংগত।

এ ছাড়া বিএমএসের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে লিখিত আকারে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে বলেও গোলটেবিল বৈঠকে জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এহতেশাম। এতে বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটির প্রজেক্ট ম্যানেজার শারমিন শবনম জয়াও বক্তব্য দেন।

আরএইচটি/এসএসএইচ