চট্টগ্রামের পটিয়ায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনতা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া এক যুবককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ এবং পটিয়া থানা ঘিরে রাখেন স্থানীয় লোকজন। এসময় সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিনের বিভিন্ন সময় এসব ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিত রামগিরি মহারাজের কটূক্তি এবং সেই বক্তব্যকে বিজেপির এক নেতার সমর্থন দেওয়ার প্রতিবাদে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পটিয়া থানা মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে পটিয়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এরই মধ্যে পটিয়ার পার্থ বিশ্বাস পিন্টু নামে এক যুবক ইসলাম ধর্ম ও নবীকে অবমাননা করে ফেসবুকে পোস্ট দেন এবং কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

আজ দুপুরে পিন্টুকে পটিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় জনতা থানা ঘেরাও করে। তারা আসামি ছিনিয়ে নিতে চায়। এতে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ধর্ম অবমাননা নিয়ে মামলা হয়েছে। আসামিও গ্রেপ্তার হয়েছে। স্থানীয়রা থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করে। আমরা তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। সেনাবাহিনীও এসেছিল, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা কাজী আখতার হুসাইন আনোয়ারী বলেন, ‘ভারতে আগেও অনেকে আমাদের প্রাণের নবীকে নিয়ে কটূক্তি ও অবমাননা করেছে। আমরা এর জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। এমনকি যারা নবীকে অবমাননা করে যাচ্ছে তাদেরকে খুঁজে বের করে দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় তৌহিদি জনতা ফুঁসে উঠবে।’

আজ (সোমবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদে ধর্মীয় কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন আসামি। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের জন্য তাকে রিমান্ডে আনার আবেদন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।

আরএমএন/এমএ