সরকারের জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে যাদের একান্তই বাইরে যাওয়া প্রয়োজন তাদের জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করছিল বাংলাদেশ পুলিশ। তবে উদ্বোধনের দিন সকাল থেকেই এই পাস ইস্যু করতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। এ পর্যন্ত মোট ২৩ কোটি ২৫ লাখ ২১ হাজার ৩৩৪ নাগরিক পুলিশের মুভমেন্ট পাস নেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে ঢুকেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোহেল রানা বলেন, ১৩ এপ্রিল থেকে ১২ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মুভমেন্ট পাসের ওয়েবসাইটে ২৩ কোটি ২৫ লাখ ২১ হাজার ৩৩৪ হিট হয়েছে। পাসের জন্য সঠিকভাবে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১২ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৮ জন। ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩৪ জন রেজিস্টার্ড নাগরিক ২১ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৪টি পাস পেয়েছেন (অনেকেই একাধিক পাসের আবেদন করেছেন)।

উল্লেখ, ১৩ এপ্রিল সকালে মুভমেন্ট পাসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। উদ্বোধনের পরপরই পুলিশের movementpass.police.gov.bd ওয়েবসাইটটিতে ঢুকতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় অনেককে। বার বার চেষ্টা করেও অনেকে ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারেননি। অনেকে ঢুকতে পারলেও ‘৫০৪- গেটওয়ে টাইম-আউট’ বার্তা দেখানো হয়। পরে অবশ্য মুভমেন্ট পাসের ওয়েবসাইটের সক্ষমতা বাড়ায় পুলিশ সদর দফতর।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মুভমেন্ট পাসের শুরু থেকেই এ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি সংগ্রহের অনেক আগ্রহ দেখা গেছে। ১৮ পেশার নাগরিক ছাড়া অন্যরা উৎসাহের সঙ্গে এই পাস সংগ্রহ করেছেন।

পাসের প্রয়োজন নেই এমন ১৮ পেশায় কর্মরতরা হলেন চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল স্টাফ, কোভিড-১৯ টিকা/চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ, ব্যাংকার, ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ, সাংবাদিক, গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান, টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী, বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী, অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা, শিল্পকারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ফায়ার সার্ভিস, ডাকসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা ও বন্দর-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তা।

এমএসি/এসকেডি