সম্প্রতি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় চারজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধায়নে ও অংশগ্রহণে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজন ও ভুক্তভোগীরা। একইসঙ্গে সহিংসতা ও হামলায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা। 

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ও অংশগ্রহণে দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সংগঠিত হামলার তদন্ত দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। ‘দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে হামলার শিকার ব্যক্তিবর্গ’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংঘাতে আহত ও প্রত্যক্ষদর্শী কুকুমনি চাকমা। তিনি বলেন, সহিংসতার ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন উপদেষ্টা রাঙামাটি সফর করেন। অন্যদিকে, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম দীঘিনালায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় জনগণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সরকার সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও হামলা, খুন ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত কাউকে এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। অন্যদিকে, পাহাড়িদের মধ্যে এখনো ভয় ও আতঙ্ক কাটেনি।

এছাড়া, নিহত জুনান চাকমার মা রূপসী চাকমা এবং নিহত রুবেল ত্রিপুরার মা নিরন্তা ত্রিপুরা তাদের সন্তানের হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। পাশাপাশি দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও করেন। 

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানান তারা।

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ও অংশগ্রহণে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও
স্বনির্ভর এলাকায় এবং রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও হামলার তদন্ত করে দোষীদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; জানমালের ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করে তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও নির্দেশনা মোতাবেক নিহত-আহতদের পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; অতিদ্রুত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত আহতদের সুচিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থাসহ আরও কয়েকটি দাবি জানানো হয়।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্বজন, আহত এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা উপস্থিত ছিলেন।

ওএফএ/কেএ