মিতুকে হত্যার হুমকি দেন এসপি বাবুলের বান্ধবী গায়েত্রী
পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ার কারণে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার স্ত্রী মিতুকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন। এমনটাই অভিযোগ করেছেন মাহমুদা খানম মিতুর বাবা ও মিতু হত্যা মামলার বাদী মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, বাবুল আক্তার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কক্সবাজারে চাকরি করার সময় গায়েত্রী সিং নামে এক এনজিওকর্মীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গায়েত্রী একপর্যায়ে মিতুর মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। বাবুলের সঙ্গে গায়েত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের আপত্তিকর কিছু বিষয় মিতু জেনে ফেলেন। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মামলা দায়েরের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।
মিতু হত্যা মামলার বাদী আরও বলেন, বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় মিতুর সঙ্গে বাবুলের ঝগড়া হয়। আর এই কারণে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় বাবুল মিতুকে হত্যা করেন। পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে মৃত্যুর আগে মিতু পরিবারকে জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, মিতুকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বাবুল আক্তার। অন্য আসামিদের সঙ্গে সমন্বয় করে বাবুল তার স্ত্রীকে খুন করেছেন।
মামলার এজাহারে তাদের পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়ে বিস্তারিত লেখা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রমাণ করবেন গায়েত্রী খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না। বাবুল ও গায়েত্রী মিলে মিতুকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। মিতু জীবিত থাকতে এ কথা আমাদেরকে জানিয়েছিল। পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ার কারণেই বাবুল আক্তার মিতুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়।
মামলা করতে কেন দেরি করলেন- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মিতুর বাবা বলেন, বাবুলের বিষয়ে তিনি পরে নিশ্চিত হয়েছেন। একই ঘটনায় দুটি মামলা হয় না। পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর তিনি মামলা করেছেন।
মোশাররফের দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যরা হলেন- কামরুল ইসলাম মুছা, কালু, ওয়াসিম, শাহজাহান, আনোয়ার, এহতেসামুল হক ভোলা ও সাকি।
এদিকে, স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তারের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে আদালতে এনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কেএম/আরএইচ