ফাইল ছবি

এলজিআরডি ও সমবায় এবং  ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কার্মচারীদের নিজেদের মধ্যে চলমান মামলাগুলো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তুলে নিতে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান মামলাগুলোর জন্য এবং জনবল সংকটে মাঠপর্যায়ে ভূমি জরিপ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি জনগণ কাঙ্ক্ষিত সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে’।

এ এফ হাসান আরিফ গতকাল তেজগাঁও ভূমি ভবনে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর আয়োজিত এক অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি অধিদপ্তরের কার্যক্রমকে আরও সক্রিয়, গণমুখী ও গতিশীল করতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন জনবল নিয়োগের কার্যক্রম শুরুর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। 

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর আয়োজিত এই অবহিতকরণ কর্মশালায় ভূমি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের প্রায় ১শ কর্মকর্তা-কর্মচারী উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন এবং তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান, ভূমি আপিল বোর্ড চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইব্রাহিম ও ভূমি সংস্কার বোর্ড চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল।

ভূমি উপদেষ্টা আইন-আদালত অঙ্গনের নিজের পেশাগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ভূমি সংক্রান্ত মামলাজট বিচারাঙ্গনকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। 

তিনি এ ধরনের মামলাজট কমাতে তৃণমূল পর্যায়ে এলাকাভিত্তিক অংশগ্রহণমূলক কর্মশালা আয়োজন করতে জরিপ অধিদপ্তরকে পরামর্শ দেন।  

উপদেষ্টা আরও বলেন, ২০১৩ সালের পর থেকে দীর্ঘদিন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরে কোনো জনবল নিয়োগ না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সংকটের মুখে পড়েছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে সমন্বিত কর্মকৌশল নির্ধারণ করে এগোতে হবে।

তিনি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান মাঠপর্যায়ে জনকল্যাণে প্রতিফলন ঘটানোর আহ্বান জানান। বাসস। 

এনএফ