বাবুল আক্তার ৫ দিনের রিমান্ডে
স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার প্রধান আসামি চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১২ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে আদালতে এনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিজ্ঞাপন
বাবুল আক্তারের আইনজীবী আরিফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দুপুর পৌনে একটার দিকে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাবুল ছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়েছে আরও ৭ জনকে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মামলা
মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কামরুল ইসলাম মুছা, কালু, ওয়াসিম, শাহজাহান, আনোয়ার, এহতেসামুল হক ভোলা ও সাকি।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়া ঢাকা পোস্টকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার মিতু হত্যা মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআইতে ডাকা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআই স্ত্রী হত্যায় বাবুলের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে তদন্তকারী দল। তাই তাকে পিবিআই হেফাজতে রাখা হয়েছে। মামলার তদন্তের বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। এক পর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারের নাম।
কেএম/এসএম