কোরিয়া, ফ্রান্স ও ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) আমাদের বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তা করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, আমাদের বেশ কিছু বড় প্রকল্প রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে। সামনে আরও কিছু বড় প্রকল্পে কোরিয়া আগ্রহ দেখিয়েছে। একইভাবে ফ্রান্স ও ইফাদ কারিগরি এবং কৃষি খাতে সহায়তা করতে চায়।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএএফ) আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপাই, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ুং সিক এবং ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (ইফাদ) কান্ট্রি ডিরেক্টর ভ্যালেন্টাইন আচানচোর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় আইএএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং ইফাদ কান্ট্রি ডিরেক্টরের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সন্ধ্যার দিকে এসব বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইএমএফের প্রতিনিধি এসেছিলেন। সামনে আইএমএফের একটি মিশন আসবে। সেটার প্রস্তুতির বিষয়ে কতজন আসবে কী করবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত দেখা করেছেন। আমাদের বেশকিছু বড় প্রকল্প রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে। প্রযুক্তি ও মানের দিক থেকে কোরিয়ার পণ্য কিন্তু ভালো। তাদের ঋণের সুদের হার দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৪০ বছর মেয়াদ। ওদের ঋণ সফট এবং ভালো কাজের জন্য দেয়। তারা আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। নেগোশিয়েশনের মাধ্যমে ওরা কাজ পেতে আগ্রহী না। সামনে আরো কিছু বড় প্রকল্পে কোরিয়া আগ্রহ দেখিয়েছে।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কারিগরি খাতে ফ্রান্সের দক্ষতা রয়েছে যেমন তথ্য প্রযুক্তি। তারা আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেবে। তাদের দেখে অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোও এগিয়ে আসবে।

সবশেষে ইফাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইফাদ অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশের কৃষি, বিভিন্ন প্রকল্প, ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে যথেষ্টা সহায়তা করে আসছে। ওদের অনেকগুলো প্রকল্প আছে, সামনে আরো প্রকল্পে সহায়তা করবে। ইফাদের সঙ্গে আজকে বিশেষ করে কৃষি পুনর্বাসন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে যা যা করার ওরা সহযোগিতা করবে।

এমএম/এমএ