দেশে নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন ও ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ঐতিহাসিক নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে স্বীকৃতি স্বরূপ ২৯শে জুলাইকে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ করার দাবি জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ)।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নিসআর ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবদুল্লাহ মেহেদী দীপ্ত, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাওলাদার, কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য নাইম আল ইসলাম 

নিসআর ৯ দফা দাবিগুলো হলো-

১. দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে শিক্ষার্থীসহ সব সড়কহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে নিতে হবে এবং পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

২. গণপরিবহনের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ এবং ঢাকাসহ সারা দেশে সব গণপরিবহনে (সড়ক, নৌ, রেল ও মেট্রোরেল)-এ শিক্ষার্থীদের জন্য শর্তহীন হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৩. সারা দেশের গণপরিবহনের মানোন্নয়ন, সড়ক ও ফুটপাত দখল মুক্তকরণ, ট্রাফিক সিস্টেমের আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় করণের মাধ্যমে পরিকল্পিত নগরায়ণ নিশ্চিত করতে হবে।

৪. পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ, কর্মঘণ্টা ও নির্দিষ্ট মাসিক বেতন নির্ধারণ এবং সড়কের বিশৃঙ্খলা আহত সব যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকের যথাযথ পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।

৫. সব পরিবহন চালকদের প্রশিক্ষণ এবং পুনরায় ড্রাইভিং সংক্রান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনতে হবে। বিআরটিএর সব কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. সারা দেশের সকল রুটের (সিটি ও আন্তজেলা) গণপরিবহন নিয়ে নির্দিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক সেবা চালু করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত যানবাহন সীমিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

৭. ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে।

৮. পরিবহন সেক্টরে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধসহ বিআরটিএ দালাল মুক্ত করতে হবে।

৯. যানজট নিরসনে বাস স্টপ ও কাউন্টারভিত্তিক টিকেট সিস্টেম চালু ও সকল রাইড শেয়ারিং এর নীতিমালা কার্যকরসহ সব ধরনের যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা।

ওএফএ/এমএ