ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমান কমিশনবিহীন অবস্থায় রয়েছে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান। প্রধান উপদেষ্টা জাতিংসঘের সাধারণ অধিবেশন শেষে দেশে ফিরে আসার পরপরই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করার চিন্তা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে সরকার গঠিত ৬টি সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নিয়ে প্রথমবারের মতো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আসিফ নজরুল বলেন, আজকের বৈঠকে নির্বাচন কমিশন পনর্গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ছাড়া ভোটার তালিকা আপডেট করার কাজ শুরু করতে পারব না। তাই প্রধান ‍উপদেষ্টা দেশে ফিরে আসার পরপরই নির্বাচন কমিশন পনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তিনি বলেন, আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন, শুধু সংস্কার ভাবনায় নিজেদের আবদ্ধ রাখবো না। রিয়েল অ্যাকশন যেটা, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য, ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা সম্ভবনা বিলুপ করার জন্য যে সমস্ত কাজ রয়েছে তা পাশাপাশি করতে চাচ্ছি।

সংস্কার কমিশনের সদস্য বেতন-ভাতা নেবেন কি, এমন প্রশ্নে আসিফ নজরুল বলেন, এগুলো সরকারি কমিশন। এগুলো বরাদ্দ, স্ট্যাটাস কি থাকবে তা আলোচনা করে ঠিক করবো। আমাদের মূল ফোকাস হলো কাজ করা। এখানে এমন ব্যক্তিরা রয়েছেন যাদের কাছে পারিশ্রমিক বা সম্মানী মুখ্য বিষয় না। 

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমার সঙ্গে যে কথা হয়েছে সেটা হবে অবৈতনিক। এটা জেনেই আমি রাজি হয়েছি। না হলে হয়তো সম্মত হতাম না। যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে তা যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা কাজ করতে সম্মত হয়েছি।

এনএম/এসএম