অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, যারা গণহত্যাকারী ছিল, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। অন্তত এক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। আরও অনেক অনেককে গুরুতর আহত করেছে, চক্ষুহীন করেছে; তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।

তিনি বলেন, তাদের বাদে সমাজের যত প্রতিনিধিত্বকারী শ্রেণি আছে, রাজনৈতিক দল আছে, সামাজিক, পেশাজীবী, ছাত্র সংগঠন, বিপ্লবী অভ্যুত্থানে ছিলেন তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে যতভাবে পারা যায় মতামত প্রতিফলিত করা হবে। এ কাজটা কীভাবে হবে সেটা আমরা নির্দেশনা দিতে চায় না। সেটা কমিশন ঠিক করবে। তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোন সংলাপ নয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে সরকার গঠিত ৬টি সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নিয়ে প্রথমবারের মতো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্র সংস্কার ইস্যুতে তিনি বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আপনাদের দ্রুত জানাব ছাত্র-জনতার  আন্দোলনের সময় যে গণহত্যা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে, সেটার বিচারের লক্ষ্যে আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। যার দৃশ্যমান পদক্ষেপ আছে। এ সময় ট্রাইব্যুনাল চিফ প্রসিকিউটর নিয়োগের কথা জানান। একই অচিরেই আদালত পুনর্গঠন করা হবে। বিচার শুরু হলে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ সরকার চাইবে বলে জানান আসিফ নজরুল।

সংবিধান সংস্কার কি প্রক্রিয়ায় হবে এমন প্রশ্নে আসিফ নজরুল বলেন, সংবিধান কীভাবে হবে সেটা বলে দিলে আলোচনার প্রয়োজন পড়ে না। কমিশন গঠন করা হয়েছে তারা সব সম্ভাবনা পর্যালোচনা করা হবে। সেটা গণভোট কিংবা গণপরিষদের মাধ্যমে হতে পারে। গণপরিষদ সংবিধান তৈরি করতে বা গ্রহণ করতে পারে।

‘আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার ভিত্তিতে সংবিধান প্রণয়নের কাজ চলতে পারে। কী হবে? সে সিদ্ধান্ত আমরা নেব না, সেটা নেবে বাংলাদেশের জনগণ। জনগণের পক্ষে কাজ করার জন্য এ কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেখানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করা হবে।’

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের মতামত নেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার করেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, যারা গণহত্যাকারী ছিল, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। আমাদের প্রায় অন্তত এক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। আরও অনেক অনেক মানুষকে গুরুতর আহত করেছে, চক্ষুহীন করেছেন এবং যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের সঙ্গে কোন আলোচনা হবে না।

এনএম/এসএম