চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ এলাকায় মাছ কেটে দেওয়ার জন্য বাসায় ডেকে নিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে অটোরিকশা চালক। ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণ করেন আরেক যুবক। পরে ওই ভিডিও দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে জিম্মির চেষ্টা করেন যুবক।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় নগরের বায়েজিদ থানাধীন আরেফিন নগর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কলোনির মান্নার পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বায়েজিদ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা।

মামলায় আসামিরা হলেন- নগরের বায়েজিদ থানাধীন আরেফিন নগর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কলোনিতে বসবাসরত মান্নার পাহাড়ের অটো ড্রাইভার মো. শামীম (৫০) ও ঘটনার ভি‌ডিও ধারণ করা একই এলাকার হাবিব (৪৬) এবং মান্না (৪৮)।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) আরিফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে আমরা থানায় মামলা নিই। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, ‘আমি অন্যের বাসায় কাজ করি। সেদিন আমার স্বামীও ঘরে ছিল না। ঘরে আমার মেয়েকে একা পেয়ে মাছ কাটার কথা বলে নিয়ে ধর্ষণ করে শামীম।’

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনাটি দেখেও সাহায্য না করে উল্টো ভিডিও ধারণ করে হাবিব। আমার মেয়ের ভিডিও দেখিয়ে আমাদের থেকে টাকাও চায় সে। আমার একমাত্র ছোট্ট মেয়েটাকে শেষ করে ফেলছে ওরা। আমি তাদের শাস্তি চাই।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী ঐ কিশোরীর মা কাজে গেলে মেয়েটাকে ঘরে একা পেয়ে সুপরিকল্পিতভাবে তাকে মাছ কাটার কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে যায় শামীম। পরে তাকে ধর্ষণ করে।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনাটি দেখে জিম্মি করার উদ্দেশ্যে ভিডিও ধারণ করে আরেক অভিযুক্ত হাবিব। পরে তাদের উভয়কে ভিডিওটি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে সে। এ ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী ঐ কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

আরএমএন/এমএ