ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। এরপর তিনি হয়ে উঠেছিলেন আর্থিক খাতের প্রধান নিয়ন্ত্রক। তাঁর মতামতই যেন ছিল আর্থিক খাতের নীতিসিদ্ধান্ত। এই সুযোগে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগপর্যন্ত নামে-বেনামে একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণের নামে অর্থ তুলে নেন তিনি।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

করোনার পর ব্যাংকঋণ নিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সালমান

নিয়মের মধ্যে বেশি ঋণ নেওয়ার সুযোগ না থাকায় অন্যদের নামে তৈরি করেন একাধিক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি নিত্যনতুন বিনিয়োগ পণ্য চালু করে ব্যাংকের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকেও টাকা তুলে নিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন একাধিক নিয়ম শিথিল করে সালমান এফ রহমানকে এভাবে অর্থ নিতে সহায়তা করে।

কালবেলা

চেরাগ ঘষে টাকা বানাতেন লিকু!

২০১৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার হিসেবে মাত্র ৫১ হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী সহকারী একান্ত সচিব-২ পদে পদোন্নতি পান। এই পদই হয়ে ওঠে আলাদিনের চেরাগ। এই চেরাগ ঘষেই বনে যান কোটিপতি। ২০২৩-২৪ করবর্ষের আয়কর রিটার্নের তথ্য অনুযায়ী তার বেতন বেড়ে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ৬৭ হাজার ১০ টাকা। তবে বেতন যাই হোক, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চাকরি পাওয়ার পর আর পেছনে ফিরতে হয়নি।

বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে নামে বেনামে গড়েছেন শত শত কোটি টাকার সম্পদ। রাজধানীতে রয়েছে একাধিক বহুতল বাড়ি, ফ্ল্যাট, গোপালগঞ্জে বাণিজ্যিক স্পেস। কাশিয়ানীতে স্ত্রীর নামে এগ্রোফার্ম, কোটালীপাড়ায় মাছের ঘের, পরিবহন খাতেও রয়েছে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ। কুয়াকাটায় ভাইয়ের নামে ওশান ব্লু রিসোর্ট। বন্ধু শামিম খান নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে দুবাইয়ে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। শ্যালকের স্ত্রীর নামে গোপালগঞ্জে রয়েছে ১০ তলা স্বর্ণা টাওয়ার। ব্যাংক ও বীমা কোম্পানিতে রয়েছে বিপুল টাকার এফডিআর। মাত্র ৫১০০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু করে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম গাজী হাফিজুর রহমান লিকু।

যুগান্তর

জালিয়াতি করে সরকারি কোম্পানি দখল

জালিয়াতির মাধ্যমে শক্তিশালী সরকারি কোম্পানি মাফিয়াদের দখলে। নজিরবিহীন এ ঘটনাটি ঘটেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি কোম্পানিতে (এনটিসি)। এ কাজে সহযোগিতা করেছে স্বয়ং সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

সরকারকে না জানিয়ে অতি গোপনে বিতর্কিত ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের কাছে এ কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে দেয়। এক্ষেত্রে আইনকানুন কোনো কিছুর তোয়াক্কা করা হয়নি। আর এ শেয়ার দিয়েই কোম্পানিটি দখলে নেন নাফিজ সরাফাত ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন। এরপর প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু করে সরকারি শেয়ার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়।

মানবজমিন

কোমায় টেলিটক

বিগত ১৫ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকে শুধু লুটপাটই করা হয়েছে হাজার কোটি টাকার উপরে। প্রতিষ্ঠানটিতে যারাই দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন তারাই অংশ নিয়েছেন লুটপাটে। যার কারণে রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা থাকলেও কখনো উঠে দাঁড়াতে 
পারেনি টেলিটক। বরং দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আরও মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও উল্টো চিত্র টেলিটকে। এর প্রধান কারণ টেলিটকের গ্রাহক সেবার মান সর্বনিম্ন।

সমকাল

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি বেশ পুরোনো। অবশেষে চাকরিপ্রত্যাশীর জন্য আসছে সুখবর। বাড়ছে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে অবসরে যাওয়ার সময়ও। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ চলছে।

চাকরির বয়সসীমা বাড়াতে এ বিষয়ক বিধি-বিধান কোথায়, কী সংশোধনের প্রয়োজন হবে– তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ নির্ধারণ করার দাবি উঠলেও মানুষের গড় আয়ু বিবেচনায় নিয়ে বয়সসীমা চূড়ান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চাকরিতে আবেদনের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ এবং অবসরের বয়স তিন বছর বাড়িয়ে ৬২ নির্ধারণ করা হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

কালের কণ্ঠ

বিদেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ৮ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। সামান্য সরকারি বেতন পেয়ে ভিনদেশে কীভাবে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই মন্ত্রী, তা নিয়ে অনুসন্ধানে বের হয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

বুধবার আলজাজিরার প্রকাশিত ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে ২৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে ৩৬০টি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সমান।

দেশ রূপান্তর

বিদেশে ‘পাচার’ দুই লাখ কোটি টাকার খোঁজে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ১৩ বিলিয়ন পাউন্ডের সমপরিমাণ দুই লাখ কোটি টাকা বিদেশে সরিয়ে নিয়েছে কিনা তদন্ত করছে নতুন প্রশাসন।

তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগীরা সম্পদ গড়েছেন। যুক্তরাজ্য ছাড়াও সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সম্পদ গড়ে তোলা হয়েছে বলেও মনে করছে প্রশাসন। সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আজকের পত্রিকা

সাবেক ৩ সিইসিসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা

অবৈধভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে জাতীয় সংসদের বিগত তিন নির্বাচন আয়োজন করার অভিযোগে চট্টগ্রামে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), সচিব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করেছে বাদীপক্ষ। 

আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রামে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম।

এছাড়া ট্রেন ইজারার রিমোট রিপন-লুনার হাতে;  দেশের সম্পত্তি বিক্রির টাকা বিদেশে যাচ্ছে হুন্ডিতে!;  রপ্তানির আড়ালে হাজার কোটি টাকা পাচার;  হাসিনাসহ সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।