নতুন ভোটার হতে জনপ্রতিনিধির স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি তুলে দেওয়ার পক্ষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সচিব পর্যায়ের বৈঠক থেকে এসে ইসি সচিব সম্প্রতি এক বিশেষ সমন্বয় সভা ডাকলে কর্মকর্তারা এমন সুপারিশ করেন। এতে এনআইডি সেবাকে সহজ করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় ইসি কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির আবেদনে জনপ্রতিনিধির স্বাক্ষর নিতে সেবাগ্রহীতাকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনেক সময় সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে বাড়ি ভাড়ার চুক্তির কাগজপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র চাওয়া হয়। এক্ষেত্রে বিকাশ অ্যাপের মতো নিজের ছবি ভেরিফিকেশন করে সহজ অ্যাপ তৈরি করে অনলাইন সেবাকে সহজীকরণ করা যেতে পারে।

এছাড়া হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র পুনর্মুদ্রণের ক্ষেত্রে সেবা গ্রহীতা কর্তৃক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) কপি প্রদানের বর্তমান নির্দেশনা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে সেবা গ্রহীতাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সেবাসহ যেসকল কার্যক্রম করে থাকে এ বিষয়ে যথাযথ প্রচার হয় না বলে সেবাগ্রহীতারা সঠিক তথ্য পান না। যার কারণে তাদের দালালদের শরণাপন্ন হতে হয়। সেবা সহজীকরণ করে এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা যেতে পারে। 

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ডাটা এন্ট্রির জন্য ডাটা এন্ট্রির অপারেটরের একাউন্ট ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এ অবস্থায় কোনো অপারেটর অনুপস্থিত থাকলে অফিস প্রধান হয়েও তিনি কোনোভাবেই সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারেন না। এমতাবস্থায়, উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের নামে একটি বিকল্প ডাটা এন্ট্রি একাউন্ট সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। অনলাইনের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা প্রাপ্তির আবেদন ফরম এমনভাবে তৈরি করা উচিত যাতে আবেদন ফরম এন্ট্রির সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি ক্যাটাগরিভুক্ত হয়ে যায়।

এসব আলোচনার পর এনআইডি সেবাকে সহজ করার লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন ইসি সচিব।

এসআর/এমএসএ