চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ১৪ ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের অনুপস্থিতির সময়ে জন্ম— মৃত্যু নিবন্ধনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ তদারকির জন্য তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ জুলাই) রাতে চসিকের জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মূলত কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকাকালে ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নিয়োগপ্রাপ্ত তিন কর্মকর্তা। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড অফিসগুলোর স্টাফদের হাজিরা, বেতন—বোনাসসহ  বিভিন্ন বিষয় তদারকি করবেন।

এর মধ্যে চসিকের ৭, ৯, ১১,১৩ এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্ব পেয়েছেন চসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম। চসিকের ৪,৬,১৮ এবং ১৯ নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন চসিকের আঞ্চলিক কর্মকর্তা শাহরীন ফেরদৌসী এবং ১৫,২১,২৩,২৫ ও ৩৮ নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন সংস্থাটির আঞ্চলিক কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরী। 

এর আগে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী। আর ৪১টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সবাই আওয়ামী লীগ— সমর্থক।

গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িসহ সিটি কর্পোরেশনের অন্তত ২০টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর হয়। পরে চসিকের অনেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আত্মগোপনে চলে যান। এতে বিঘ্ন ঘটে নাগরিক সেবায়। মূলত নাগরিক সেবা স্বাভাবিক করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশন সূত্র। 

আরএমএন/এমএসএ