ফরহাদ মজহারের লেখা বই পড়ে ৫ আগস্টের মতো ঘটনার জন্য তরুণরা দিকনির্দেশনা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন লেখক ও গবেষক ফরহাদ মজহার।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রেসক্লাবে আয়োজিত 'গণঅভ্যুত্থান-২৪: জন আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক ওলীউল্লাহ নোমান, জামায়াতে ইসলামীর পল্টন থানার আমির শাহীন আহমেদ খান, লেখক ও গবেষক সারোয়ার তুষার, সাংবাদিক নেতা শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। 

ফরহাদ মজহার বলেন, বুদ্ধিজীবীদের কথা শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না— এমন কথা একজন তরুণ বলেছেন। একটা কথা মনে রাখতে হবে বুদ্ধিজীবী ছাড়া কোনো বড় ঘটনা বা বাংলাদেশ গঠন করতে পারব না। 

তিনি বলেন, সেই তরুণ আরেকটা কথা বলেছে— বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা গণঅভ্যুত্থান হচ্ছে এটা জানতো না। এটা ভুল কথা। ২০২৩ সালে আমাদের একটা বই বের হয়েছিল। আমাদের যৌথ প্রযোজনা। বইটির নাম গণঅভ্যুত্থান ও গঠন। ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট এটা প্রকাশ পায়। বাংলাদেশের তরুণদের বড় একটা অংশ সেই বই দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। সেই বই তারা পড়েছে। সেই বই থেকে তারা দিকনির্দেশনা পেয়েছে।

ফরহাদ মজহার বলেন, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট বইটি বের হয়েছে। আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। তাই তরুণরা যেভাবে বলছে সেটা ঠিক না। বারুদ কিন্তু জমা ছিল কিন্তু ম্যাচের কাটি জ্বালানোর লোক ছিল না। তরুণরা ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। গণতন্ত্র হলো রাষ্ট্রের একটা ধরণ। বাড়িটা হল রাষ্ট্র আর বাড়িটা কে নিয়ন্ত্রণ করবে সেটা হচ্ছে নির্বাচন। বাড়ির ঠিক নাই সেখানে কী নির্বাচন করবেন। এজন্য বারবার বলা হচ্ছে পুনর্ঘটনের কথা।

ওএফএ/এমজে