‘রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, ডাক্তারকে ডাকতে গেলেই মারলেন লাথি’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অভিযুক্ত চিকিৎসককে তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, রংপুরে রোগীর স্বজনের পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ওই চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি রংপুর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার-২ তে এ কাণ্ড ঘটান। 

এ অবস্থায়, অভিযোগের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠাতে রংপুরের জেলা প্রশাসক বলা হলে গত ২০ আগস্ট প্রতিবেদন পাওয়া যায়। অভিযোগ ও প্রতিবেদন পর্যালোচনায় ওই চিকিৎসক এবং তার সহকারীর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারীকে ধাক্কা দেওয়া ও টানাহেঁচড়া করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই চিকিৎসককে তলব করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমার চাচা দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। ১৪ দিন আগে অসুস্থ চাচাকে নিয়ে চিকিৎসককে দেখাই। এ সময় চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন দিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেন। দুই সপ্তাহ পরও চাচার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ে আসি। কিন্তু চাচার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সত্ত্বেও তিনি সিরিয়াল দিচ্ছিলেন না। একপর্যায়ে আমার চাচা নিঃশ্বাস নিতে পারছিলেন না। শেষে আমি ডাক্তারের রুমে গেলে উনি কোনো কিছু বলার আগেই আমার পেটে লাথি মারে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

নারীকে লাথি মারার ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সেই চিকিৎসক বলেন, ওই নারী জোর করে চেম্বারে ঢোকার চেষ্টা করলে আমার সহকারী তাকে বাধা দেন। পরে জোর করে চেম্বারে প্রবেশ করে। এতে রেগে গিয়ে আমি তাকে ধাক্কা দেই। তার পেটে লাথি মারার কথা সঠিক নয়। 

মানবসেবার মহান ব্রত নিয়ে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যেখানে সুস্থ করার কথা সেখানে চিকিৎসা সেবা চাওয়ায় একজন মুমূর্ষু রোগীর স্বজনের পেটে চিকিৎসকের লাথি মারার অভিযোগ কমিশনের বেঞ্চ গুরুত্ব সহকারে আমলে নেয়। এ ধরনের ঘটনা অমানবিক ও অনভিপ্রেত বলে কমিশন মনে করে।

জেইউ/কেএ