রাষ্ট্র, শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চেয়ে গ্রেপ্তার আনসারদের মুক্তি দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ভুক্তভোগী আনসার সদস্যদের পরিবার’ ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষজন অংশ নেন। তারা সবাই সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনে অংশ নিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা আনসারদের আত্মীয় ও পরিবারের সদস্য।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ‘২৫ আগস্ট সচিবালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য সাধারণ আনসার সদস্যদের

পরিবারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র, শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি’, ‘গ্রেপ্তার আনসারদের পুনরায় চাকরিতে বহাল চাই’, ‘গ্রেপ্তার আনসারদের বেতন-ভাতা ও রেশন পরিশোধ করো’, ‘গ্রেপ্তার আনসারদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই’, ‘জাস্টিস ডিলেড, জাস্টিস ডিনাইড’সহ বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করতে দেখা যায়।

মানববন্ধনে কিশোরগঞ্জ থেকে আসা মোজাম্মেল হক বলেন, আমার ছোট ভাই মাহফুজুল হক আনসার সদস্য হিসেবে মুন্সীগঞ্জে কর্মরত ছিল। আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আমরা কিছুই জানতাম না। পরবর্তী সময়ে জানতে পারি সে গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা এই ঘটনায় পরিবারের সদস্য হিসেবে রাষ্ট্র, সরকার এবং ছাত্রদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যারা তাদেরকে আন্দোলনে নিয়ে এসেছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। আমার ছোট ভাই নিরপরাধ। তাকে যেন অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।

ময়মনসিংহ থেকে আসা মো. রইছ উদ্দিন বলেন, আমার বোন জামাই ঢাকাতে আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিল। তার পরিবার এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। তারা অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। আমরা চাই কারাগারে থাকা আনসার সদস্যদের ক্ষমা করে যেন মুক্তি দেওয়া হয়।

আনসার আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ডদের শাস্তির মুখোমুখি দাঁড় করানোর দাবি জানান জয়পুরহাট থেকে আসা মো. শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার বোন জামাই আবু নাসের কারাগারে আছে। যারা প্রকৃত দোষী তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হোক। তারা একেবারেই সাধারণ আনসার সদস্য। তাদের আটক করে কোনো লাভ নেই। বরং তাদের পরিবারের সদস্যরা কষ্ট করে জীবন যাপন করছে। তাই আমরা ক্ষমা চাচ্ছি। সরকারপ্রধানের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি যেন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়।

গত ২৬ আগস্ট চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করেন আনসার সদস্যরা। পরে ভাঙচুর এবং শিক্ষার্থী ও সেনা সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকার ৪ থানায় মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় এজাহারনামীয় ৪২৬ এবং অজ্ঞাতনামাসহ ১০ হাজার আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তারও করা হয় অনেক আনসার সদস্যকে।

আরএইচটি/এমএ