ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের একজন গৃহকর্মীর নামেই মিলেছে কোটি টাকা। এই গৃহকর্মীর নাম মর্জিনা আকতার। তিনি চট্টগ্রামভিত্তিক বিতর্কিত এই ব্যবসায়ীর বাসায় কাজ করতেন। মর্জিনা আকতারের নামেই ব্যাংকে এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের সন্ধান পেয়েছেন কর কর্মকর্তারা।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

এস আলমের গৃহকর্মীর ব্যাংক হিসাবে কোটি টাকা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১৫–এর একটি অনুসন্ধানী দল এস আলম পরিবারের কর ফাঁকির বিষয়টি তদন্ত করছে। সে তদন্ত চালাতে গিয়ে মর্জিনা আকতারের নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে এ অর্থ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

যুগান্তর

বাবা-ছেলের সিন্ডিকেটে চলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থায় নিয়োগ, বদলি ও টেন্ডার বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতি। তার বিরুদ্ধে আছে চাঁদাবাজির অভিযোগও। মন্ত্রীর বাসায় বস্তায় বস্তায় টাকা প্রবেশের নেপথ্যে কাজ করেছেন জ্যোতি।

বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ঘিরে বাবা-ছেলে মিলে গড়ে তুলেছিলেন বিশাল সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই গড়ে উঠেছে বিপুল অবৈধ সম্পদ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শুধু অনপনেয় বা অমোছনীয় কালি কেনার ক্ষেত্রে যে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, এর সঙ্গেও ওই সিন্ডিকেট জড়িত বলে বেরিয়ে এসেছে। ঢাকার আশুলিয়া থানার একটি মামলায় গ্রেফতারের পর রোববার জ্যোতিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে তিনি পুলিশকে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য দিচ্ছেন।

সমকাল

অর্থনৈতিক সংস্কারে পাশে থাকতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার অর্থনৈতিক সংস্কার। এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায় দেশটি। সংস্কারের বিষয়ে যেসব খাত চিহ্নিত করা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

এদিকে রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মার্কিন অর্থ দপ্তরের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলটি গতকাল রোববার ঢাকায় দিনভর ব্যস্ত সময় পার করে। দলটি সকাল থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা মো. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে দেখা করে। এর আগে গত শনিবার ঢাকায় নেমে দলটি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে।

বণিকবার্তা

১৫০ কোটি ডলার দেবে এডিবি, বিশ্বব্যাংক ১০০ ও যুক্তরাষ্ট্র ২০ কোটি

বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৭০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক খাত সংস্কারে ২৫০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি। ২৫০ কোটির মধ্যে এডিবি দেবে ১৫০ কোটি; বাকিটা দেবে বিশ্বব্যাংক। অন্যদিকে স্বাস্থ্য, সুশাসন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র দেবে ২০ কোটি ডলার। 

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার দুই মাস না পেরোতেই এ প্রতিশ্রুতি মিলল। আর তিনটি প্রতিশ্রুতির ঘোষণাই আসে গতকাল।

কালের কণ্ঠ

বিদেশে অর্থ পাচারে আওয়ামী লীগের অর্ধশত মন্ত্রী-এমপি

গত এক মাসে আমলে নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৩ জনই মন্ত্রী-এমপি। এর মধ্যে অর্ধশত মন্ত্রী-এমপির বিদেশে সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুদক। পাচারকারীরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা ও এমপি সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক অর্থমন্ত্রী ও এমপি আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও এমপি ডা. দীপু মনি, সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানসহ আরো অনেকে। এ ছাড়া এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম মাসুদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব কবির বিন আনোয়ারসহ ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা অন্তত ৭০ জনের বিরুদ্ধে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দুদকের হাতে রয়েছে।

যুগান্তর

জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় বিএনপির ৪২২ জন নিহত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় বিএনপির ৪২২ জন নিহত হয়েছেন। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল হিসাবে, গণআকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে গণঅভ্যুত্থানে সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে নেমে আসে বিএনপি এবং এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।

আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল নয়, বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের অংশগ্রহণে, গণঅভ্যুত্থানে সাংগঠনিকভাবে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখে, ফ্যাসিবাদের পতনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। আর তাই, বিএনপির যে ৬০ লাখ সদস্যের নামে ফ্যাসিবাদের সময় মিথ্যা মামলা হয়েছে, তার সুবিশাল অংশ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে, রাষ্ট্রযন্ত্রের ষড়যন্ত্র ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে রুখে দাঁড়ান। ফলে যার-যার অবস্থান থেকে জনগণের কাতারে নেমে আসে বিএনপি ও সমমনা সব রাজনৈতিক দল, তথা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলো। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কারে হাত দিয়েছে। আমরা মনে করি নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কার শেষে ভোট দিতে ২ মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।

প্রথম আলো

এক প্রতিষ্ঠানের জাহাজভাঙা কারখানায় ১০ বছরে ১৬ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় এসএন করপোরেশন নামের জাহাজভাঙা কারখানায় আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত ১০ বছরে প্রতিষ্ঠানটির তিনটি জাহাজভাঙা কারখানায় অন্তত ১৬ জন মারা গেছেন। বারবার দুর্ঘটনার পরও শ্রমিক সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গ্রিন সনদ প্রাপ্তির পরও ইয়ার্ডটিতে শ্রমিকদের স্বার্থ উপেক্ষিত ছিল—এমন অভিযোগ পরিবেশবাদীদের।

৭ সেপ্টেম্বর একটি তেলের ট্যাংকার (জাহাজ) কাটার সময় এসএন করপোরেশনে আবার দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ছয়জন মারা গেছেন। আরও ছয়জন দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুর্ঘটনার সময় যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি ছিল বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সমকাল

হিন্দুদের জমি দখল করে রাজত্ব সাদেক খানের

হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের জমি দখল করে বিশাল বিশাল মার্কেট ও পেট্রোল পাম্প স্থাপন করেছেন ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক এমপি সাদেক খান। বিভিন্ন সময়ে প্রভাব খাটিয়ে, ভয় দেখিয়ে তাদের জমি দখল করে মোহাম্মদপুর এলাকায় কৃষি মার্কেট, সাদেক খান মুরগি মার্কেট, সাদেক খান শুঁটকি মার্কেট, সাদেক খান ইট মার্কেট, সাদেক খান বালি মার্কেট, সাদেক খান বস্তি ও পেট্রোল পাম্পসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। অবাধে জমি দখল করে এলাকায় রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। দুদক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। 
সাদেক খানের নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে দুদকের গোয়েন্দা শাখার গোপন অনুসন্ধানে। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যসহ আত্মীয়দের নামে সম্পদ গড়েছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

এছাড়া দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চায় সরকার; ফেব্রিক্স ঘোষণার আড়ালে বিদেশি মদ এনেছে সিনহা গ্রুপ;  গ্রেপ্তার সাবেক দুই ডজন মন্ত্রী-এমপি; রানা দাশগুপ্তকে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি;  শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে বললেন সারজিস;  সংস্কারের আগে নির্বাচন চান না ৮১% মানুষ—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।