বিজিবির কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এবং বিএসএফ ১৪৬ ব্যাটালিয়ন রওশনবাগের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সাক্ষাৎকালে বিজিবির পক্ষ থেকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও মাদক পাচার রোধে গুরুত্বারোপ করা হয়।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএসএফের আহ্বানে বিজিবির কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের জামালপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১৫২/৭-এস হতে আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বিজিবির কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের কমান্ডার এবং বিএসএফ রওশনবাগ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিজিবির পক্ষে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে রওশনবাগ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং নেতৃত্ব দেন।

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান জানান, সৌজন্য সাক্ষাতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিজিবির কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের চল্লিশপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১৫৭/এমপি হতে ৮৫/১০-এস এলাকায় উভয় দেশের সার্ভেয়ার এবং বিজিবি ও বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের আনুমানিক ২০০ একর জমি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের আনুমানিক ৪০ একর জমি আগামী অক্টোবর মাসে সুবিধাজনক সময়ে উভয় দেশের সার্ভেয়ার এবং বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে পুনরায় জরিপ করে জমির প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর/গ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা একমত পোষণ করেন। 

এছাড়া সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ব্যাপারে কড়া প্রতিবাদসহ নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্তে আটক না করা, ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও নিষিদ্ধ কোনো পণ্য যাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে এবং আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সীমান্তবর্তী জনসাধারণ যাতে অবৈধভাবে সীমান্তের উভয় পাশের পূজামণ্ডপে যাওয়া-আসা করতে না পারে সে ব্যাপারে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

জেইউ/পিএইচ