কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে দুর্বৃত্তদের হামলা ও মারধরের শিকার চিকিৎসক ডা. সজীব কাজীকে দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গিয়েছেন এবি পার্টির নেতারা।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইকিয়াট্রিস্ট প্রফেসর ডাক্তার মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার মারাত্মক আহত ডাক্তার সজীব কাজীর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ সময় ডাক্তার সজীব নিজের মুখে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ ডাক্তার মেজর (অব.) আব্দুল ওহাবের নিকট তুলে ধরেন।

ডাক্তার আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসকদের কোনো নিরাপত্তা নেই। কোনো কারণ ছাড়া হামলার শিকার হতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। রাতে একজন চিকিৎসককে অমানবিকভাবে মারধর করা হয়েছে। যেভাবে তাকে মারা হয়েছে তাতে তার মৃত্যু হতে পারতো। যারা এই হামলায় জড়িত তারা ফ্যাসিস্ট বিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের শত্রু। এদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

জানা গেছে, কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের দ্বারা হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন ডাক্তার সজীব কাজী। এই সময় ডাক্তার সজীব কাজী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও সিসিইউতে কর্মরত ছিলেন। তখন সন্ত্রাসীরা সিসিইউতে প্রবেশ করে প্রথমে ভাঙচুর চালায়। পরে চিকিৎসক সজীবকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে টেনে-হিঁচড়ে মারতে মারতে চারতলা থেকে নিচে নামিয়েও মারধর করতে থাকে। এতে হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে অন্য চিকিৎসকরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।

পার্টির সহকারী সদস্যসচিব ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, অবিলম্বে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সামগ্রিকভাবে কালচার পরিবর্তন করা জরুরি। চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে কাজ করছে। চিকিৎসা খাতকে বিশ্বমানের করার জন্য সবার সহযোগিতা জরুরি। এবি পার্টি এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ডাক্তার সজীব কাজীর ওপর হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ সময় এবি পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য ও সহকারী সদস্য সচিব ছিদ্দিকুর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান এবং চট্টগ্রাম মহানগর সহকারী সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার যায়েদ হাসান চৌধুরী ও ডাক্তার তানভীর উপস্থিত ছিলেন।

এমআর/এমএ