বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। তবে যোগ দেওয়ার আগে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন চট্টগ্রামের বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সবশেষ দুপুর পৌনে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইউএসটিসি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে যাচ্ছিলেন। এসময় তারা বিতর্কিত উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশের নিয়োগ বাতিল না হওয়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে গৌতম বুদ্ধ দাশকে চার বছরের জন্য ইউএসটিসির ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত এ পদে যোগদান করেননি বলে গৌতম বুদ্ধ দাশ নিজেই নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া তার নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি অবগত নন বলে জানান।

ড. গৌতম ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা আট বছর চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ভিসি ছিলেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও তার বাবা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অত্যন্ত অনুগত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া আরেক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির এলাকার হওয়ায় তারও আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন ড. গৌতম। ভিসি থাকাকালে গৌতমের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ ও স্বজনপ্রীতিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। দুর্নীতির টাকায় পদ-পদবি টিকিয়ে রাখা এবং নানা পুরস্কার কিনে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

গত বছর বাংলাদেশের শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। তখন ওই ঘটনায় উল্টো প্রতিবাদ জানান দেশের ২০১ জন কৃষিবিদ। অর্থাৎ তারা ড. ইউনূসের বিচার দাবি করেছিলেন। কৃষিবিদদের এ তালিকায় ছিলেন ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।

এ নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর ‘‘ড. ইউনূসের 'বিচার চাওয়া' গৌতমই হলেন ইউএসটিসির উপাচার্য’’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এমআর/এসএসএইচ