ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকটা বিপর্যয়ের মধ্যে দেশের পুলিশি ব্যবস্থা। এক মাস পার হলেও পুলিশি ব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি। বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মনোযোগ বা কার্যক্রম মূলত বদলি, পদোন্নতি ও পদায়ন ঘিরে। এই ক্ষেত্রে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সাত-আটজন কর্মকর্তার একটি গ্রুপ অত্যন্ত প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

বদলি-পদোন্নতি নিয়েই ব্যস্ত পুলিশ কর্মকর্তারা

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই গ্রুপ বিগত সময়ে ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের তালিকা করছে। কে কোন থানার ওসি হবেন, কে কোন জেলার পুলিশ সুপার হবেন; রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে কারা যাবেন—সেটা ঠিক করছে এই গ্রুপ। এই ক্ষেত্রে পেশাদারত্ব কম গুরুত্ব পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি পেয়েছেন, ঢাকায় চাকরি করছেন—এমন কর্মকর্তারাও ‘বঞ্চিত’ দাবি করছেন। আবার বিগত সরকারের সময়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে শাস্তি পেয়েছেন এমন কর্মকর্তারাও একই দাবি করে সুবিধা নিচ্ছেন। এমন ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও উঠেছে।

কালবেলা

রাউজানে এমপির ত্রাসে বিভীষিকার দুই যুগ

চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলা। অনেকের কাছেই এটি ভয়ংকর এক জনপদের নাম। দুই যুগ ধরে সেখানে ঘটেছে একের পর এক গা শিউরে ওঠার মতো ভয়ংকর অপরাধ। হাজার হাজার মানুষকে নির্মম অত্যাচার, নিপীড়ন, গুম-খুন, হামলা-মামলা, জমি দখল, ধর্ষণ, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, যৌন নিপীড়নসহ এমন কোনো ঘৃণ্য কাজ নেই, যা হয়নি এই উপজেলায়।

শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বিএনপি-জামায়াতসহ প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক কর্মী, মুনিরিয়া যুব তাবলিগ কমিটির ভক্ত থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীও নির্যাতিত হয়েছেন। হত্যা ও গুমের শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়িঘর, মসজিদ, মন্দির, মাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবুও প্রতিবাদ দূরের কথা, মুখ খুলতেও সাহস পায়নি কেউ। কারণ, সব অপরাধের মূল হোতা ছিলেন ওই এলাকার সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। দীর্ঘ ২৪ বছর রাউজানে ত্রাসের রাজত্ব চলেছে তার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছে রাউজানের নির্যাতিত মানুষ।

মানবজমিন

কাজে ফিরতে চান শ্রমিকরা, উস্কানিতে তৃতীয় পক্ষ

বেতন বৃদ্ধি, বকেয়া পরিশোধ, টিফিন, ছুটি বৃদ্ধি, মাতৃকালীন সময়ে ভারী কাজ না করা, কোম্পানির লভ্যাংশের অংশ প্রদানসহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে সাভার ও আশুলিয়ায় আন্দোলন করছেন পোশাক শ্রমিকরা। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সব দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসের পরও থামছে না শ্রমিকদের এই আন্দোলন।

কারখানা  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ শ্রমিকরা আন্দোলন চান না। তারা তাদের দৈনন্দিন কাজে ফিরতে চান। কিন্তু বহিরাগত একটি পক্ষ দেশের শিল্পখাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তাদের উস্কানি দিয়ে আন্দোলনে নামিয়েছে। যার জেরে শুধু আশুলিয়াতেই ৮৬টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে আরও ১৩৩টি পোশাক কারখানায়।

যুগান্তর

পিতাপুত্রের টাকা পাচার

রপ্তানি ও আমদানির নামে ২৫৫ কোটি ডলার এখন পর্যন্ত দেশে আসেনি বলে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হয়েছে। এ অর্থের বড় অংশ একাধিক কোম্পানির বিনিয়োগকারী পিতাপুত্র সম্মিলিতভাবে পাচার করেছেন। দেশে পিতার কোম্পানি থেকে পণ্য রপ্তানি হয়েছে বিদেশে পুত্রের কোম্পানিতে।

একইভাবে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্য দেশ থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে পুত্রের কোম্পানিতে। কিন্তু টাকা বা পণ্য কোনোটাই দেশে আসেনি। মেয়াদ শেষে অতিরিক্ত সময়ের পরও এসব অর্থ দেশে আনা হয়নি। এসবের সঙ্গে জড়িত ৪৫ জন উদ্যোক্তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। রপ্তানি আয় দেশে আনেনি-এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। ওই তালিকা ধরে সিআইডি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

কালের কণ্ঠ

কালো টাকায় মতিউর পরিবারের দেশে-বিদেশে বিলাসী জীবন

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অপসারিত সদস্য মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশে-বিদেশে অবৈধ অর্থে বিলাসী জীবন যাপন করছেন। মতিউর, তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, প্রথম পক্ষের সন্তান ছাগলকাণ্ডের আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব গাঢাকা দিয়ে দেশেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী এবং প্রথম পক্ষের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা বিদেশে পলাতক। এই পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী বর্তমানে যাচাই-বাছাই করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সমকাল

তিন মেয়রেই ডুবেছে চট্টগ্রাম

দরপত্র পাওয়ার প্রধান শর্ত যোগ্যতা। সে কাজ বাস্তবায়নে অনুসরণ করার কথা সরকারি ক্রয়বিধি (পিপিপি)। কিন্তু গত ১৫ বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) মেয়রের দায়িত্ব পালন করা তিন মেয়রের কেউই মানেননি কোনো নিয়ম।

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে তিনজনই গুরুত্ব দিয়েছেন তাদের পছন্দের ঠিকাদারকে। দলীয় ঠিকাদারদের মাঝেই ভাগাভাগি করে দিয়েছেন প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার কাজ। এতে কমে গেছে প্রতিযোগিতা। খারাপ হয়েছে কাজের মানও। বেশির ভাগ প্রকল্পই শেষ হয়নি নির্ধারিত সময়ে। উল্টো বেড়েছে ব্যয়, গচ্চা গেছে হাজার হাজার কোটি টাকা। তার পরও একটু বৃষ্টি হলেই কোমরসমান পানিতে ডুবে যায় বন্দরনগরী। নাগরিক জীবনমানের উন্নতি ঘটেনি চট্টগ্রামবাসীর।

এছাড়া  যুদ্ধাপরাধের ৩০ মামলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত!;  লু’দের সফরে গুরুত্ব পাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা;  স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটির সভাপতির পদত্যাগ;  যারা মাজার ভাঙছেন, তাদের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক নেই; ব্র্যাককে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দিল টিকটক; তলিয়েছে কক্সবাজার পাহাড়ধসে মৃত্যু ৬ —সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।