ঢাকাসহ ৫ বিভাগে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা
ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও বৃষ্টিপাত হবে। এ বৃষ্টিপাতের ধারা আগামীকাল পর্যন্ত থাকতে পারে। এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বাড়লেও বিপদসমীর নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সকাল থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আমরা বলছি রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তিনি জানান, ২২ থেকে ৪৪ মি.লি. মাঝারি ভারী বৃষ্টিপাত ও ৪৫ থেকে ৮৯ মি.লি. হলে তাকে ভারী বর্ষণ বলা হয়। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে দেশের কিছু কিছু এলাকায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার তাপমাত্রার তথ্যে বলা হয়েছে, সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ময়মনসিংহে ৭৫ মি.লি.। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাজশাহীতে।
এদিকে সোমবার (১০ মে) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থার তথ্যে বলেছে, দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসমীর নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের গাণিতিক মডেলের তথ্য মতে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ও তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে যার ফলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ নদীগুলোর পানি সমতল এই সময়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে।
একে/এমএইচএস