জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ২৫ জন পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হাতিরপুল সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মৃত্যুর এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত শ্রমিকদের নাম, মৃত্যুর তারিখ ও স্থান এবং তাদের শেষ কর্মস্থল পোশাক কারখানার নামসহ বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

আশুলিয়া এলাকা- তৌহিদুর রহমান, শাকিনুর রহমান, শুভ শীল, নাজমুল, নাঈম, সুমন ইসলাম, রহমত, আব্দুল আজিজ, আয়াতুল্লাহ, শরীফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।  

নারায়ণগঞ্জ- মো রাসেল, মিনারুল ইসলাম, ইয়ামিন চৌধূরী, সোহেল রানা, শাহ আলম, জামান মিয়া, আসিফুর রহমান, সজীব, মিনহাজুল ইসলাম, রাশদেুল ইসলাম, মো. পারভজে মিয়া, মো. রবিউল, ইসলাম, মো. কবির, মো শামীম শাহাদাত।

গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তাসলিমা আখতার। আর আন্দোলনে আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলে দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে সব হত্যার বিচার দাবি করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, হাজারো ছাত্রজনতার প্রাণের বিনিময়ে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পরিবর্তন এসেছে। এই অর্জনে ছাত্রজনতার প্রাণহানির সঙ্গে সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদেরও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যেটি যথাযথভাবে জনগণের সামনে আসছে না। এখন পর্যন্ত আমরা পোশাক শ্রমিকসহ প্রাণ হারানো শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাইনি।

এতে আরও বলা হয়, পোশাক শ্রমিকদের শহীদ হওয়ার খবর পাচ্ছি। তারা সরকারের করা ৬৮০ জনের তালিকায় আছে কী না, সেটিও আমরা জানি না। আমরা মনে করি পোশাক শ্রমিকসহ ছাত্রজনতার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা এই মুহূর্তে জরুরি।

তাসলিমা আখতার বলেন, শ্রমিকদের দাবি পূরণে দীর্ঘসূত্রিতা শ্রমিকাঞ্চলে উদ্বেগজনক অবস্থা তৈরি করেছে। গতকাল ১৮৩টি কারখানা বন্ধ ছিল আশুলিয়া গাজীপুর মিলিয়ে। 

শ্রমিকদের ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবিসহ অন্যান্য দাবির বিষয়ে মালিক ও সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান তাসলিমা আখতার।

এএইচআর/এমজে