গত ১৭ আগস্ট ইশতিয়া খাতুনের (১৮) সঙ্গে বিয়ে হয় সুমনের। সংসারও চলছিল ভালোই। গত কয়েকদিন যাবত হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ইশতিয়া। মিডফোর্ড হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাও করা হয়। কিন্তু কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ইশতিয়া।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত দশটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতর মামা আব্দুল হাকিম জানান, আমার ভাগ্নির গত আগস্ট মাসের ১৭ তারিখে বিয়ে হয়। আমার ভাগ্নি পেটের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে যায়। তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল পরে ঢাকা মেডিকেলেও তার চিকিৎসা করা হয়। আজ রাতে বাসার রুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে আমরা দেখতে পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

তিনি বলেন, কি কারণে আমার ভাগ্নি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। আমরা তাকে আগে হাসপাতালে নিয়ে আসি, তার স্বামী পরে হাসপাতালে এসেছেন। আমাদের তার স্বামীর প্রতি কোনও অভিযোগ নেই। 

ইশতিয়া পশ্চিম ইসলামবাগের ৭৮/২ নম্বর বাসায় স্বামী সুমনের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

এসএএ/এমএসএ