চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার নম্বরপত্র ও মেধাতালিকা পাওয়া যাচ্ছে না। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক পরীক্ষার্থী ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করলে এ ঘটনা ধরা পড়ে। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে ওই সময়ে সিটি কর্পোরেশনের সচিবের দায়িত্বে থাকা খালেদ মাহমুদকে তলব করা হয়েছে।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আগামী বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সিটি কর্পোরেশনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

খালেল মাহমুদ বর্তমানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক হিসেবে কর্মরত। ৫ সেপ্টেম্বর তাকে সিটি কর্পোরেশন হাজির হতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, যান্ত্রিক, পুরকৌশল ও বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগে ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর লিখিত ও ১৭ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একই বছরের ডিসেম্বরে তিন বিভাগে ১১ জন প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়া হয়। সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনুপম আজিম নামের এক পরীক্ষার্থী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর গত ১৮ আগস্ট ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেন।

আবেদনে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ভালো হওয়ার পরও নিয়োগ না দিয়ে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

খালেদ মাহমুদকে তলব করে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) পদের একজন পরীক্ষার্থী মেয়র বরাবর আবেদন করেন। এ বিষয়ে সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস থেকেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার নম্বরপত্র ও মেধাতালিকা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের জিজ্ঞেস করলে তারা ওই পদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফল তাদের দেওয়া হয়নি বলে জানান।

চিঠিতে আরও বলা হয়, নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদন করলে মেধাতালিকা নথিতে থাকা আবশ্যিক হলেও নথিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। দাপ্তরিক প্রধান হিসেবে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র সংরক্ষণ করা আপনার কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়ের মধ্যে পড়ে।

এ বিষয়ে জানতে সাবেক সচিব খালেদ মাহমুদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।

আরএমএন/এমজে