চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সন্তানসম্ভবা শান্তা সূত্রধর। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৭ সেপ্টেম্বর। শান্তা ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসক এবং স্বজনরা ছিলেন দুশ্চিন্তার মধ্যে।

গতকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সেখানে তার অস্ত্রোপচার হয়। বেলা ২টার দিকে শান্তা সন্তানের জন্ম দেন। এর পরই তাকে নেওয়া হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। সেখানেই রাত ১০টা ৫০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া শান্তা নগরের লাভ লেন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

জানা গেছে, শান্তার নবজাতক কন্যাটি এখন সুস্থ আছে। তবে বুকের দুধের জন্য কান্নাকাটি করছে। মায়ের অনুপস্থিতিতে এই সন্তানকে কীভাবে বড় করবেন, তা নিয়ে চিন্তিত স্বজনরা।

পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়ে হওয়ায় খুশি ছিলেন শান্তা। প্রথম বাবা হওয়ার আনন্দে ভাইকে মিষ্টি নিয়ে আসতে বলেন শান্তার স্বামী সাগর দাশ।

সাগরের মামাতো ভাই আকাশ দে বলেন, ‘বাচ্চা হওয়ার পর আমাকে ফোন করে দাদা মিষ্টি নিয়ে যেতে বলেন। পরে আমি হাসপাতালে গিয়ে বউদির সঙ্গে কথা বলি। তিনি তখন ওয়ার্ডে ছিলেন। তখনো কথা বলছিলেন। সন্ধ্যা থেকে তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানেই রাতে মারা যান।’

আকাশ বলেন, এক স্বজনের বুকের দুধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক কান্নাকাটি করছে মেয়েটি।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন, দুজনের মৃত্যু হয়। এ বছর মোট আক্রান্ত হন ৭১৪ জন। মারা গেছেন ৯ জন।

আরএমএন/এসকেডি