আগামী হজ মৌসুমে প্রত্যেকটি হজ এজেন্সিকে সর্বোচ্চ ৫০ জনের কোটা নির্ধারণ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। 

এ ক্ষেত্রে সংগঠনটির যুক্তি, দেশের পর্যাপ্ত হজ এজেন্সি আছে। প্রত্যেক এজেন্সিকে যদি সর্বোচ্চ ৫০ জনের কোটা ঠিক করে দেওয়া হয় তবে হাজিদের সেবার মান বাড়বে।

সম্প্রতি ধর্ম সচিবকে এমন প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দিয়েছেন হাবের মহাসচিব ফারুক আহমেদ সরকার। চিঠিতে বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রায় ১১৭০টি হজ এজেন্সি রয়েছে। তাদের বেশিরভাগ কার্যক্রম সক্রিয়। অতীতে হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন হজযাত্রী পাঠানোর কোটা ৫০ জন ছিল। পরে সেটি ১৫০ জন করা হয়। ২০১৯ সালে সর্বনিম্ন ১০০ এবং সর্বোচ্চ কোটা ৩০০ জন করা হয়।

হাব জানিয়েছে, অতীতে হজযাত্রী সংখ্যা এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন কোটা ৫০ থাকার কারণে বাংলাদেশি হজযাত্রীরা সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় উত্তম সেবা পেয়েছেন। কিন্তু এজেন্সির কোটা বাড়ানোয় সেই সেবায় ঘাটতি দেখা গেছে। কারণ অধিকাংশ হজযাত্রী বয়োজেষ্ঠ, মক্কা মোকাররম এবং মদিনা মোনাওয়ারার অধিকাংশ চলাচলের রাস্তাঘাট উঁচু নিচু, বৈরী আবহাওয়া এবং অচেনা এলাকা হওয়ার কারণে বাংলাদেশি হজযাত্রীরা সহযোগিতা ছাড়া নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে না। ফলে এজেন্সিতে হাজির সংখ্যা বেশি থাকায় সেবায় বিঘ্ন ঘটে। এবারও হজ ব্যবস্থাপনায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।

হাব চিঠিতে বলেছে, এজেন্সি প্রতিজন হজযাত্রীকে সরাসরি সেবা দিতে হয়। তাই হজযাত্রীর কোটার সংখ্যা যত কম হবে সেবা তত সহজ হবে। এজেন্সি প্রতি হজযাত্রী সংখ্যা সর্বনিম্ন ৫০ জন এবং সর্বোচ্চ সংখ্যা ৩০০ জনের বেশি হলে হজযাত্রীকে সরাসরি সেবার অন্তরায় হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর সংখ্যা সর্বনিম্ন ৫০ রেখে হজ কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় সকল সেবা ১০০% নিশ্চিত করা সহজ হবে। হজযাত্রীদের কল্যাণে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে অতীতের ন্যায় এবছর এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন ৫০ জন হজযাত্রীর কোটা চলমান রাখার দাবি জানাচ্ছি। তবেই হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

এনএম/এসকেডি