সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। দুই দেশের স্বার্থে এখান বেরিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।  

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। 

সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাস নিহত হ‌য়ে‌ছে। এ ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। এরপরও সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটছে। প্রতিবাদে কাজ না হলে আমরা কি বিচার চাইব? এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা প্রতিবাদের ভাষা অনেক শক্ত করেছি। আপনারা খেয়াল করেছেন কি না আমি জানি না। আমাদের এই মুহূর্তে এটুকুই করার আছে। আমরা তো যুদ্ধ বাঁধাতে পারি না।

তিনি বলেন, এটা খুব সংবেদনশীল ইস্যু। সেটা আমরা প্রতি মুহূর্তে বলছি। আমরা আশা করব, তারা যেন আমলে নেয়। আমরা নোটে বলেছি, যারা এটা করেছে তাদের বিচারের সম্মুখীন করা হোক। এমন ঘটনার নিন্দা আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি। 

সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাস নিহত হ‌য়ে‌ছে। স্বর্ণার নিহতের দিন তিনেকের মাথায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি এক কিশোরও নিহত হয়েছে।

সবশেষ, ঠাকুরগাঁও সীমান্তে কিশোর হত্যার প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গতকাল যেটা হলো সেটা নিয়েও আমরা একই রকম প্রতিবাদ জানাব। যেখানে আমাদের সুযোগ হবে আমরা বলব। এটা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। দুই দেশের স্বার্থে উচিত এটা থেকে বেরিয়ে আসা। এটা ভারতের পক্ষেও উপকারি হচ্ছে বলে আমি কাউকে বলতে শুনিনি।  

এনআই/এসকেডি