সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছায়াদ মাহমুদ খান (১২) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২০-৫০ জনের নাম উল্লেখ করেছে নিহতের পরিবার।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নিহত ছায়েদ মাহমুদ খানের বাবা বাহাদুর খান বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

নিহত ছায়াদ মাহমুদ খান মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানার ধল্লা এলাকার বাহাদুর খানের ছেলে। ছায়াদ জাবাল-ই-নূর দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। 

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা (৭৬), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের (৭২), সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (৭৫), সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (৭০), বিশ্বব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মাহমুদ উল হিক (৫০), রানা ওরফে ব্যস্ত রানা (৫০), সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসময় অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২০-৫০ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা সাভার থানাধীন সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সাভার নিউ মার্কেটের দক্ষিণ পূর্ব দিকের কোনায় চাঁপাইনগামী রাস্তায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল। এসময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুকুমে এবং প্ররোচনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের অজ্ঞাতনামা আরো আসামিরা হামলা করে। এসময় আসামিদের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ নিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রদের ধাওয়া করে এবং এলোপাতাড়ি পিটায় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি গুলি বর্ষণ করে। সে সময় ছায়েদ মাহমুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। 

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আতিকুর রহমান আতিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০-৫০ জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর ছায়েদ মাহমুদের বাবা বাহাদুর খান একটি মামলা দায়ের করেছেন।

জেডএস