ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গঠিত প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটির (জেএনসি) আহ্বায়ক মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, এই কমিটি ফ্যাসিবাদের মূল থেকে উচ্ছেদ করে দেশকে পুনরুদ্ধার করার জন্য জন-সংবেদনশীল নীতি প্রণয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দিক থেকে কাজ করবে।  

খুনিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্মের পূর্বশর্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার। জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছে যা পর্যায়ক্রমে সকল শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারিত করা হবে। 

কমিটি শিগগিরই পর্যায়ক্রমে সারাদেশের জনসাধারণের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময় সভা করবে বলেও জানান তিনি। 

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে জোর দিয়ে তিনি বলেন,দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে। এই কমিটিকে গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। গণ- অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল নতুন একটি বাংলাদেশ তৈরি করা। গণ-অভ্যুত্থানের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে নিয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিনিয়োগ করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা সুসংহত করে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। এর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি যেসব চক্রান্ত এখনো রয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জারি থাকবে। 

নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, দেশ পুনর্গঠনে যে জনতার সরকার, সেখানেও কিছু ‘রিফরমেশন’ (পুনর্গঠন) এবং ‘রিকনস্ট্রাকশনের’ (পুনর্নির্মাণ) কাজ রয়েছে, সেগুলো দ্রুত শুরু করা হবে। আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতিতে যেসব বিদেশি চক্রান্ত হচ্ছে, সেসব ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা হবে।  

জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, এই কমিটি করার জন্য তারা একটি অনুসন্ধান কমিটি করেছিলেন। এই কমিটি সব দলাদলি-মতভেদ ভুলে কিছু মানুষকে একত্র করেছে। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সমাজের অংশীজনদের সঙ্গে গত এক মাস বৈঠক করেছেন। তারা চান আগামীর বাংলাদেশ তরুণদের হাতে তুলে দিতে। তরুণেরা ঐক্যবদ্ধভাবে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন করবেন। 

নাসিরুদ্দীন বলেন, অনেকে মনে করছে আমর রাজনৈতিক দল গঠন করছি বা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিংকআপটা (সংযোগ) কোথায়। আমরা স্পষ্টত বলছি। আমরা কোনো ব্যক্তি বা দলীয় এজেন্ডা সামনে রাখছি না। আমরা পুরো বাংলাদেশকে সামনে রাখছি। 

এনএফ