দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে মহিলা পরিষদ।

বিবৃতিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার তেতলাব এলাকায় শহীদ মিজির ভাড়াটিয়া বাড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ৮ বছর আগে নিহত রোকসানা বেগম আদমজী ইপিজেডে কাজ করার সময় অভিযুক্ত স্বামী নুর জামালের সঙ্গে পরিচয় হয় ও তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পরপরই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। অভিযুক্ত স্বামী নুর জামাল প্রায়ই রোকসানাকে মারধর করত এবং একসময় তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে নুর জামাল চাপাতি দিয়ে রোকসানাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় পাঁচ বছরের শিশুকন্যা জান্নাত চিৎকার করলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আহত শিশু জান্নাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় আছে এবং মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে।

তারা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি যে, নারী ও কন্যার প্রতি পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নিজ বাড়িতেই গৃহবধূরা স্বামী বা পরিবারের সদস্যদের দ্বারা কোনো না কোনো নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় নারী ও কন্যারা নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। চলমান এরূপ সহিংসতায় নারী ও কন্যাদের নিরাপত্তা এবং তাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।

ওএফএ/এমজে