ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের চলমান লড়াই সফল করার লক্ষ্যে ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। 

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষিত কমিটিতে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের দুই জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

কমিটিতে আহ্বায়ক হলেন নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, মুখপাত্র, শামান্তা শারমিন। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

আহ্বায়ক জানান, কোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে নয় বরং ছাত্র-জনতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। 

কমিটির সদস্যরা হলেন

আরিফুল ইসলাম আদীব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার চৌধুরী, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদি, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রাসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশীদ দিয়ক, প্রাঞ্জল কস্তা, মঈনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুযাইফা ইবনে ওমর, শ্রবণা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা, সানজিদা রহমান তুলি, আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক মৃধা, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, মো. আজহার উদ্দিন অনিক, মো. মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস. এম. শাহরিয়ার, মানজুর- আল- মতিন, প্রীতম দাশ, তাজনূভা জাবীন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক উস সালেহীন, তাহসীন রিয়াজ, হাসান আলী খান, মো. আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান, আতিক মুজাহিদ, তানজিল মাহমুদ, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল, মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, এস.এম. সুজা, মো. আরিফুর রাহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার।

শহীদ পরিবারের দুই সদস্য হলেন, স্বর্ণা আক্তার, আকরাম হুসেইন।

নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচার থেকে মুক্তি পেয়েছে। একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে, ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতেই আজকের এই নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করেছে। পুনরায় স্বৈরাচারী শক্তি যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, এই কমিটি ছাত্র-জনতার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।

নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে  বাংলাদেশে স্বৈরাচার বিলোপ করতে এই কমিটি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। দেশ-বিদেশি চক্রান্ত আমরা ছাত্র-নাগরিক সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করবে। আমরা এসব কাজে সকল সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সহযোগিতা কামনা করছি। আপনারা বুদ্ধি ও পরামর্শ দিয়ে তরুণদের সাহায্য করবেন। তরুণ সমাজ এই দেশকে সুন্দরভাবে পুনর্গঠন করবে।

আহ্বায়ক জানান, এটি কোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে নয় বরং ছাত্র-জনতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

কেএইচ/এএইচআর/এসকেডি