দুদকের জালে সাবেক ২ এমপি, আছেন কৃষিমন্ত্রীর পিএও
অনিয়ম, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট তৈরি করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, বগুড়া ৫ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান এবং সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের পিএ মাকসুদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস শহীদ ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ২০২৪ সালে মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। তিনি আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি, নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সংসদ সদস্য হয়েও বন বিভাগের জমি দখল করে চা বাগান তৈরি এবং চা বাগানে রাস্তার লাইট ও ডিপ টিউবওয়েল সরকারি খরচে স্থাপনসহ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
সাবেক এই চিফ হুইপের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রয়সহ স্ত্রী ও নিজ সন্তানদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এছাড়াও তার স্ত্রীর নামে কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়িসহ দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের গড়ার অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন হাবিবুর রহমান। সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজ নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের গড়ার অভিযোগ রয়েছে।
আর সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ নিয়ে কাজ সম্পন্ন না করিয়ে বিল উত্তোলন, বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ আছে সাবেক মন্ত্রীর এই ব্যক্তিগত সহকারী বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজ নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ করেছেন।
আরএম/এসকেডি