গার্মেন্টস শিল্পের বিরুদ্ধে করা কোনো ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি)।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।  

বক্তব্যে আইবিসির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ বাদল বলেন, বেশ কিছু দিন থেকে আশুলিয়া-সাভার, টঙ্গী, গাজীপুর শিল্প অঞ্চলে কারখানা ভাঙচুর, গার্মেন্টস শিল্পে হামলা, বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ চলছে। এলাকার বহিরাগত, জুট ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং, টোকাই এবং চাকরি প্রত্যাশীরা শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে কারখানা থেকে বের করে দিচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আইবিসির অথবা আমাদের ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনগুলোর এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, গার্মেন্টস শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা ৮৪ শতাংশ অর্জন করে বা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। তাছাড়া প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান, ফরওয়ার্ড এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ মিলিয়ে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান করেছে এই শিল্পে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, এই শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

এ সময় আইবিসির পক্ষ থেকে ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেগুলো হলো;

১। পূর্ব নোটিশ ছাড়া হঠাৎ করে কোনো কারখানা যেন বন্ধ ঘোষণা না করে এবং সকল কারখানা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

২। এই মুহূর্তে শ্রমিক ছাঁটাই থেকে বিরত থাকা। বিগত দিনে বে-আইনিভাবে ছাঁটাই করা শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা।

৩। ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি সকল গার্মেন্ট কারখানায় বাস্তবায়নের তদারকি করা।

৪। গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি আন্দোলনের সময় সকল মিথ্যা ও হয়ারনিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।

৫। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কর্তৃক শ্রমিকদের চলমান ডাটাবেজ সিস্টেম বেজেএমইএ ও বিকেএমইএ স্বার্থে ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এটাকে জনসম্মুখে প্রকাশ করে শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্তকরণ বন্ধ করতে হবে।

৬। গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে রেশনিং প্রথা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

৭। গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য বাসস্থান, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রমিক ঘন শিল্পাঞ্চলে হাসপাতাল ও বাসস্থানের জন্য ডরমেটরি বিল্ডিং স্থাপন করতে হবে।

৮। আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী ইউনিয়ন গঠনে স্বাধীনতা ও যৌথ দর কষাকষি অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। যখন তখন বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে এবং বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন/ডিসি/ইএনওর অনুমতির ব্যবস্থা করতে হবে।

ওএফএ/এসকেডি