যুবদল নেতা মোহাম্মদ মামুন / ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস আটকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক ব্যক্তিকে ছাত্রলীগ বলে বাস থেকে নামিয়ে ফেলে অভিযুক্তরা। পরবর্তী সময়ে তারা ভুক্তভোগীর কাছে থাকা ৬৫ ভরি সোনা ছিনিয়ে নেয়।

চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ আগস্ট। ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম রূপন দাশ। তিনি কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার রুবেল কান্তি দাশের মালিকানাধীন রিদি গোল্ড ফ্যাশন নামে একটি সোনার দোকানের কারিগর।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর এ ডাকাতির ঘটনায় নেতৃত্বে ছিলেন পটিয়া পৌরসভা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মামুন (৩৫) ও তার সহযোগী বিএনপিকর্মী মনির (৩০)। ভিডিও ফুটেজে পরিচয় শনাক্ত হলে ৪ সেপ্টেম্বর দুজনের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় মামলা হয়। যদিও তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ভুক্তভোগী সোনা কারিগর রূপন দাশ বাসে করে গত ২৭ আগস্ট ৬৫ ভরি সোনা নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাচ্ছিলেন। তাকে বহনকারী বাসটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস ফারুকী পাড়া পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় একটি মোটরসাইকেল ও নোহা গাড়ি বাসের গতিরোধ করে। বাসে থাকা যাত্রীদের রূপন দাশ ছাত্রলীগ নেতা বলে জানিয়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে ও মারধর করে নামিয়ে ফেলেন অভিযুক্তরা। এরপর বাসটি চট্টগ্রামের দিকে চলে যায়। পরে যুবদল নেতা মোহাম্মদ মামুনের নেতৃত্বে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৬৫ ভরি সোনা ছিনিয়ে নেয়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভিডিও ফুটেজে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর আমরা মামলা নিয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যুবদল নেতা মোহাম্মদ মামুনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি বদরুল খায়ের বলেন, দলের নাম ব্যবহার করে যারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, চুরি, ছিনতাই ও মানুষের ওপর জুলুম করবে তাদের স্থান বিএনপিতে নেই। ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট ভাষায় তা জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীদের।

এমআর/এসএম