সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলররা বহাল থাকলেও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণের মাধ্যমে বৈষম্য করা হয়েছে হলে অভিযোগ করেছেন অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যানরা। নিজেদের সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটে নির্বাচিত উল্লেখ করে স্বতন্ত্র ভাইস চেয়ারম্যান ব্যানারে আন্দোলনরতরা তাদের ভাইস চেয়ারম্যানদের পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘অপসারিত স্বতন্ত্র ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনর্বহালের’ দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও দিনাজপুরের চিরির বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লাইলা বানু।

তিনি বলেন, চলতি বছরের ৮, ২১ ও ২৯ মে এবং জুনের ৫ ও ৯ তারিখে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আমরা সকলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা নির্বাচিত হয়েছি।

বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিগত সরকারের পতন হয়েছে। এরপর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৮ আগস্ট শপথ গ্রহণ করে দেশ সংস্কারের কাজ করছে। কিন্তু গত ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমাদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। আমরা এখানে বৈষম্যের শিকার হয়েছি। কারণ স্থানীয় সরকার বলতে বাংলাদেশ জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনকে বুঝায়। কিন্তু বর্তমান সরকার সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। অন্যদিকে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর শুধুমাত্র চেয়ারম্যান ও মেয়রদের অপসারণ করা হয়েছে বাকি সদস্য ও কমিশনারদের স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র উপজেলা পরিষদের ক্ষেত্রে এর ভিন্নতা দেখা গিয়েছে অর্থাৎ চেয়ারম্যানদের সাথে সাথে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদেরও অপসারণ করা হয়েছে যেটা বৈষম্যের শিকার।

বৈষম্যে দূর করার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যেখানে বর্তমান ছাত্র আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যে ছিল বৈষম্যের দূরীকরণ, সেখানে প্রথমেই ভাইস চেয়ারম্যানরা বৈষম্যের শিকার। তাই আমরা বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আমাদের এ বৈষম্যের পরিত্রাণ কামনা করছি।

লাইলা বেগম তার বক্তব্যে বলেন, আমরা আইনের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে যাব। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা বিশৃঙ্খলা করব না। তবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে আমরা আমাদের ভোটারদের নিয়ে রাস্তায় নামব।

ওএফএ/এসকেডি