গ্রেড উন্নয়নে অবস্থান কর্মসূচিতে ১৮০০ অডিটর
অর্গানোগ্রামের একই পদে দুই গ্রেড রেখে বৈষম্যমূলক পদ্ধতি চালু রাখার প্রতিবাদ এবং ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেড উন্নয়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টের অডিটররা।
বৈষম্যের স্বীকার প্রায় ১৮০০ কর্মচারী ঢাকাসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গত ১৭ দিন ধরে বিরতিহীন আন্দোলন করছেন। রাজধানী ও এর বাইরে প্রত্যেক অফিসের নিচে তারা অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সিজিএ কার্যালয়ের সবুজ চত্বরে সকাল থেকে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, অডিটররা অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি বিক্ষোভ করে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
আন্দোলনরত একজন অডিটর ও আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মনিরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, একই অর্গানোগ্রামে একই পদে দুই গ্রেডে বেতন কাঠামো সরকারের অন্য কোনো বিভাগে নেই। আমাদেরকে দীর্ঘদিনের বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা দূর করার পদক্ষেপ থমকে রেখে আন্দোলনের দিকেই যেন ধাবিত করার প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। আমাদের এই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষকে শান্তিপ্রিয়ভাবে আহ্বান করা হলেও উপেক্ষা করা হয়েছে বারবার। আমাদের দাবির পক্ষে আদালত ও আমাদের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগ, এমনকি বর্তমান আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টাসহ অফিস দাবির পক্ষে মতামত দিয়েছে। বর্তমানে তা অর্থমন্ত্রণালয়ে রয়েছে। একটি দুর্নীতিবাজ চক্রের কারণে অনুমোদন আটকে আছে। আমরা ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
তিনি বলেন, অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের অডিটরদের মধ্যে চরম হতাশা, ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। যা স্বাভাবিক কার্য পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। সুতরাং আমাদের এই ন্যায্য অধিকার আদায়ে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। আমাদের শান্তিপ্রিয় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে। প্রয়োজনে সারা দেশ থেকে সব অডিটর রাজধানীতে এসে অবস্থান করবে।
দাবির বিষয় আরও জানা যায়, এ বিষয়ে আদালতে রিট পিটিশন করা হলে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রায় প্রদান করা হয়। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৮ আড়ষ্ট অডিটর পদকে ১১তম হতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বর্তমানে অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ কালক্ষেপণ করছে। হাইকোর্টের রায়, সিএজি'র সুপারিশ, আইন মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক মতামত থাকার পরও অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়টি অনিষ্পন্ন রেখেছে বলে করেন অডিটররা।
আরএম/জেডএস