সংবাদপত্রের আলোচিত খবর
হাসিনা পরিবারের ৬০ কাঠা প্লট
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
গাড়িটির আমদানি মূল্য দেড় কোটি টাকার কম। তবে শুল্ককর পড়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা। এরপর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খরচ ও মুনাফা যোগ হয়ে গাড়িটি বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হওয়ার কথা প্রায় ১২ কোটি টাকায়। তবে সংসদ সদস্যরা নিজেদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করলে ছাড় পান প্রায় ১০ কোটি টাকা। কার্যত তাঁরা ১২ কোটি টাকার গাড়ি কিনতে পারেন দেড় কোটি টাকায়।
বিজ্ঞাপন
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
সাবেক সংসদ সদস্যদের ‘গাড়িবিলাস’: ব্যারিস্টার সুমন কিনেছেন সবচেয়ে দামিটি, দ্বিতীয় সাকিব
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ৫১ জন সংসদ সদস্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছিলেন, ঋণপত্র খুলেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনের গাড়ি দেশে এসেছে। ছয়জন গাড়ি খালাস করতে সমর্থ হয়েছেন। চারজনের গাড়ি খালাস করার আগেই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ফলে চার সংসদ সদস্যের গাড়ি আটকে দিয়েছে কাস্টমস।
যুগান্তর
রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) আলোচিত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে স্বয়ং নিজের নামে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তিনি একা নন, প্লট নিয়েছেন তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়) ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এছাড়া প্লট বরাদ্দ প্রাপ্তদের তালিকায় আছেন হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার দুই ছেলেমেয়ে।
সূত্র জানায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে তাদের প্লট দেওয়া হয়। ২০২২ সালে তারা প্লট বুঝে পান। পরে বিষয়টি রাষ্ট্রীয় অতি গোপনীয় বিষয় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া খোদ রাজউকেরই অনেকে এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না। হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১০ কাঠা আয়তনের প্লট নিয়েছেন।
মানবজমিন
৩ শতাধিক প্রভাবশালী দুদকের নজরে
৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে অনেকটা নীরব ছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে সরকারের পালাবদলে রাতারাতি পাল্টে যায় সংস্থাটির কার্যক্রম।
গত মাস থেকেই একের পর এক প্রভাবশালী ব্যক্তি যারা দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে গত ১৬ বছরে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এরই মধ্যে তিন শ’ জনের তালিকা ধরে এগুতে শুরু করেছে মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন আবদুল্লাহ কমিশন।
আরও পড়ুন
বণিক বার্তা
প্রতি গিগায় প্রাথমিক গড় ব্যয় প্রায় ৪ টাকা বিক্রি ২৫-৩৫ টাকায়
দেশের সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের ব্যবসায়িক উল্লম্ফন ঘটিয়েছে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাটা বিক্রিতে। বিগত কয়েক বছরে এ বাবদ বড় মুনাফা আদায় করে নিয়েছে অপারেটররা। প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি গিগাবাইট মোবাইল ইন্টারনেট ডাটা সরবরাহে ব্যয় হচ্ছে সোয়া ২ থেকে সোয়া ৫ টাকার মতো।
গড়ে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪ টাকায়। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ব্যয় ২ টাকা ২৬ পয়সা। আর রবি আজিয়াটার ব্যয় হয় ৫ টাকা ২৮ পয়সা। বাংলালিংকের আর্থিক বিবরণীতে ডাটার ব্যয়সংক্রান্ত বিশদ কোনো তথ্য প্রকাশ না হলেও খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতি গিগাবাইট মোবাইল ডাটায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যয় রবির কাছাকাছি।
কালবেলা
ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে লুট ২৩৭৫ কোটি টাকা
১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি খাতের ব্যাংক আইএফআইসি। জাতীয় নির্বাচন এলেই ব্যাংকটির কার্যক্রমে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করা যেত। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র এক বছর বয়সী পাঁচ কোম্পানিকে ব্যাংকটি ঋণ দিয়েছে প্রায় ২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা।
অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে কোম্পানিগুলোর ঋণসীমা বৃদ্ধি করে ব্যাংকটি। অথচ এসব কোম্পানির নেই কোনো ওয়েবসাইট। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকে দেওয়া প্রতিবেদনেও দেওয়া হয়নি কোনো ঠিকানা। এসব ঋণের সুবিধাভোগী হিসেবে মনে করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে।
দেশ রূপান্তর
আত্মীয়চক্রে আতিকের আয়েশি সাম্রাজ্য
ভাতিজা-ভাগিনাসহ আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) পরিবারিক একটি সিন্ডিকেটে পরিণত করেছিলেন সদ্য সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির ছোট-বড় সব খাত থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। লুটপাট থেকে বাদ যায়নি বস্তি উন্নয়নের টাকাও।
তাছাড়া ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন, নিয়োগ, বদলি ও ময়লা বাণিজ্যসহ ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন রাজধানীর সেবাদানকারী এ প্রতিষ্ঠানটিকে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে খরচ করেছেন জনগণের করের টাকা। বাড়তি বিল ভাউচারে আপত্তি তোলায় কর্মকর্তাকে বদলি করার মতো নজিরও স্থাপন করেছেন সাবেক মেয়র আতিকুল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য থাকার কারণে শত দুর্নীতি করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন তিনি। দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি ও ডিএনসিসির একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আজকের পত্রিকা
বিভিন্ন সময়ে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া প্লট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক) প্লট বরাদ্দের তালিকা তৈরি করেছে। প্রচলিত বিধিবিধান পর্যালোচনা করে তা বাতিলের জন্য খুব দ্রুত সংস্থা দুটির বোর্ড সভায় তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রথম ধাপে শুধু নিবন্ধন হয়নি—এমন ১০৩টি প্লটের বরাদ্দ বাতিল করবে রাজউক। আর বরাদ্দসংক্রান্ত অনিয়ম থাকায় ২৫ থেকে ৩০টি প্লট বাতিল করবে জাগৃক। এর মধ্যে ‘মুজিব’ সিনেমার অভিনেতা আরিফিন শুভ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৫ গাড়িচালকসহ রাজনীতিবিদ, সচিব, বিচারপতি ও সরকারি কর্মকর্তাদের নামে বরাদ্দ করা প্লটও রয়েছে।
এছাড়া ‘চোখ বুজে’ টাকা দিল জনতা ব্যাংক; তালিকায় সাবেক বর্তমান ৯৪ পুলিশ কর্মকর্তা; বিএনপি-জামায়াতের দূরত্ব বাড়ছে; সারা দেশে আজ শহিদি মার্চ—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।