চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরিতে পুনর্বহাল এবং বৈষম্য দূরীকরণে বিদ্যমান প্রেষণে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহারসহ ৬ দাবি জানিয়েছে দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (ডুসা)।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বরাবর দাখিল করা আবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই অবস্থায় কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে অন্যান্য দাবিগুলো অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।

ডুসার দাবিগুলো হলো-

* বিদ্যমান ব্যবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের আদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২০ক ধারায় উল্লিখিত তদন্তের সময়সীমাকে বাধ্যতামূলক নয়, যা Directory (নির্দেশক) এবং এরূপ সময়সীমা লঙ্ঘনের দায়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে গৃহীত আইনগত ব্যবস্থা প্রত্যাহারের অফিস আদেশ জারি। দুদক আইনের ৩১ ধারায় সরল বিশ্বাসে কাজ করতে নিয়ে যে সকল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে তা প্রত্যাহারে অফিস আদেশ জারি করতে হবে।

* দুদক চাকুরি বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি অনুযায়ী বিদ্যমান প্রেষণে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। বৈষম্যমূলকভাবে ও বিধিবর্হিভূতভাবে কমিশনের যোগ্য পদোন্নতি বঞ্চিত সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদান ও পদায়ন না করা।

* যাচাইবাছাই কমিটির (যাবাক) আহ্বায়ক পদে দুদকে কমপক্ষে ১০ বছর অনুসন্ধান ও তদন্ত করেছেন এমন ব্যক্তিকে পদায়ন করতে হবে। দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলে দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন করতে হবে।

* দুদকের চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের আবেদন পুনঃবিবেচনা করা। তার আবেদন পুনঃবিবেচনা করে অপসারণের দিন থেকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।

* তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার জন্য সহযোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীর অভাব রয়েছে। মহাপরিচালক, পরিচালক পদ আপগ্রেড করাসহ বেতন কাঠামোর সকল ধাপে পদক্রম সৃজন করে যুগোপযোগী অর্গানোগ্রাম তৈরি করতে হবে।

আরএম/এমজে